সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বারদী ইউনিয়নের শান্তিরবাজার এলাকায় বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট অসহায়ক এক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছেন।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী জমির মালিককে হত্যার হুমকি দেওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জমির মালিক আব্দুল মতিন। বর্তমানের আব্দুল মতিন ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে আব্দুল মতিন জানিয়েছেন।
ঘটনার পর সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রভাবে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরবর্তীতে ৭ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে ভূক্তভোগী আব্দুল মতিন পুলিশ সুপার র্কাযালয়ে অভিযোগ দায়ের করে র্মাকেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন।
নারায়ণগঞ্জ পুলিম সুপার কার্যালয়ে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের বাস্তমবাগ গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে আব্দুল মতিন পৈত্রিক সম্পত্তির হেবা দলিল মূলে জমির মালিকানা পান। ওই জমির পাশ্ববর্তী চাচাতো দাদা আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে ৩৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করে চেয়ারম্যান সিন্ডিকেট। কিন্তু ওই জমির মধ্যে আব্দুল মান্নানের সিএস ও আরএস রেকর্ডীয় মূলে মালিক ১৮.৭৫ শতাংশ।
আব্দুল মান্নান তার মালিকানার অর্ধেক বেশি জমি বিক্রি করায় ওই জমি চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নেতৃত্বে মো. জাফর, মো. হোসেন, হাবু মেম্বার, ফারুক মেম্বার, ছানু মেম্বার, আমান, ইকবাল, আবুল কাশেম, আলমসহ ৩-৪ জনের একটি সিন্ডিকেট দখল করে নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল মতিন জমি দখলে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে জমি দখলে নেওয়ার নারায়ণগঞ্জ আদালত, সোনারগাঁ উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সিসি ঢালাই দিয়ে তাদের অংশের জমিতে মার্কেটের পিলার নির্মাণ শেষ হয়েছে। নালিশী জমিতে পিলারের বেইসের মাটি কেটে রাখা হয়েছে। এ বেইসে সিসি ঢালাইলের মাধ্যমে পিলার নির্মাণ করা হবে। পাশের ভবন নির্মাণের সরঞ্জাম এনে রাখা হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান জহিরুল হক সিন্ডিকেটের মুল হোতা। তিনি চালাক প্রকৃতির লোক। কাগজে কলমে সে প্রকাশ্যে না এসে আড়ালে থেকে এ সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করে। মানুষের জমির অংশ কিনে বিচার শালিসের ওই সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করে। বারদী এলাকায় তার নেতৃত্বে সরকারী খাস জমি দখল করে নিজ নেওয়ার পর দোকানি বিক্রি করে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছে।
ভূক্তভোগী আব্দুল মতিনের অভিযোগ, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হকের নেতৃত্বে এ সিন্ডিকেট আমার জমির মালিকানা নিয়ে তিনটি স্থানে মামলা চলমান থাকাবস্থায় জমি দখল করে নেয়। আমি সিন্ডিকেটের হুমকির কারনে বাড়িতে যেতে পারছিনা। তাদের ভয়ে পরিবারসহ পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, আমি এ দখলের সাথে জড়িত না। কোন কাগজে আমার নাম নেই। তবে সিন্ডিকেটর মধ্যে পরিষদের কয়েকজন সদস্য রয়েছে। বিষয়টি আমি অবগত আছি। ভূক্তভোগী পরিবার সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে প্রয়োজনে সহযোগিতা করবো।
সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।