সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কনসেপ্ট ‘ একটি বাড়ি একটি খাদ্যভান্ডার’ কর্মসূচির আওতায় ৩০ হাজার গাছের চারা রোপণের উদ্যোগে নিয়েছেন তিনি। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকারি মূল্যে ১ হাজার গাছের চারা চেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বন বিভাগের কাছে আবেদন করেছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
১১ জুলাই শনিবার এক লিখিত আবেদনের বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আবেদনে উল্ল্যেখ করা হয়- আমি নিজ উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ত্রিশ হাজার গাছের চারা রোপণ করার পদক্ষেপ নিয়েছি এবং বিভিন্ন স্থানে আমার বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গাছের চারা ক্রয় করার জন্য আমার প্রতিনিধি জামাল হোসেন স্থানীয় বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে বন বিভাগ ১৮ জুলাই তারিখের পূর্বে গাছের চারা বিক্রি করবে না বলে জানায়।
তারা আরো জানায় যে, আপনার বিতরণের জন্য পঁচিশ হাজার গাছের চারা মজুদ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উন্নতমানের আম গাছের চারা রাজশাহী বন বিভাগ থেকে আনা হচ্ছে। বর্তমানে অন্যান্য প্রজাতির গাছের চারার সংকট দেখা দেয়ায় পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক পূর্ণ গতিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী বাস্তবায়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
অতএব, প্রার্থনা, সরকারি নির্ধারিত মূল্যে আমাকে আপাতত ১ হাজার গাছের চারা সরবরাহ করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এদিকে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামাল দিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের থিওরি ‘একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার’ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মীর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০ হাজার চারা গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, বন্দর ও ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
২ জুলাই বৃহস্পতিবার মিডিয়াতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে উন্নত জাতের আমের চারা আনা হয়েছে যা রোপন করা হচ্ছে। ৩ হাজার আম গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনা হয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপন করা হচ্ছে এবং তার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন টিমের সদস্যরা। এই কাজে সহযোগীতা করবেন ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী। যারা সকলে টি-শার্ট পরিধান করে কাজ করবেন। সেজন্য ১ হাজার টি-শার্ট তৈরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, এসব গাছ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা বিদ্যালয় সহ রাস্তার দুইপাশে রোপণ করা হবে। এ ছাড়াও যেখানে খালি থাকবে সেখানেই চারা রোপণ করা হবে। ১ হাজার কর্মীরাও এসব গাছ রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করবে। মোট কথা করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে মানুষের যে খাদ্যের সংকট দেখা দিবে সেই সংকট মোকাবেলায় একটি বাড়ি একটি খাদ্য ভান্ডার থিওরি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।