সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির এক সিনিয়র আইনজীবীর রূপগঞ্জস্থ জমি দখলে নিতে কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েছে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী ভূমিদস্যূ বাহিনী। জমি দখল করতে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় ওই আইনজীবীর বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। একই সময়ে একটি টিন ঘর ভাংচুর চালিয়ে ঘরের চাল সহ নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এর আগে আইনজীবীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও তার কোন ফল না পেয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলম খান নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে অব্যাহত।
জানাগেছে, ১৩ জুলাই সোমবার রূপগঞ্জের গুতিয়াবো এলাকার হালিমের ছেলে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যূ সাদ্দাম, শাহজাহানের ছেলে সোহেল, আমিন উদ্দীনের ছেলে আউয়াল, দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজ, সানাউল্লাহ, মধুখালী এলাকার আবুলের ছেলে মামুন, হারিন্দ গাতলা এলাকার লেহাজ উদ্দীনের ছেলে পাগলা ইব্রাহীম গংদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের বরারব লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে অ্যাডভোকেট আলম খান উল্ল্যেখ করেন- উপরোক্ত বর্ণিত ব্যক্তিগণ এলাকার কুখ্যাত খুনি, সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু চাঁদাবাজ। ওদের যন্ত্রনায় আমি এবং এলাকার অনেকেই অতিষ্ট। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ আমার নিকট বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। আমি চাঁদ দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হুমকি প্রদান করে আসছি। বিগত ৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়। সন্ত্রাসীরা দা, ছেনা, লাঠিসোঠা নিয়ে ও লোহার রড নিয়ে রূপগঞ্জ থানা গুতিয়াবো সাকিনে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার কেয়াটেকার গোলেহা বেগমকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে উক্ত বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িঘর ভাংচুর করে আনুমানিক ৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধণ করে এবং ২ লাখ টাকার টিন ও মালামাল নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আইনজীবী আরও বলেন, আমি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগতি করি এবং ৯৯৯ নম্বরে কল করে সহযোগীতা চাইলে ঘটনাগুলে পুলিশ উপস্থিত হলে উপরোক্ত ব্যক্তিগণ অনেকেই পালিয়ে যায়। পর ওই দিন রাত্র ৮ ঘটিকায় থানা পুলিশ এবং রূপগঞ্জ থানা সার্কেল এএসপিকে বিষয়টি অবগত করি।
একই সঙ্গে আলম খান জানান, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন বিষয়টি অবগত করেন তিনি। চেয়ারম্যান গত ১১ জুলাই মীমাংসার চেষ্টা করলে তারা পরিষদে সময় চায় এবং অত্যাপ্ত ঔধতপূর্ণ আচরণ করে।
তিনি জানান, উক্ত পরিষদে বারের সিনিয়র আইনজীবী রফিক, গাফফার, গিয়াস উদ্দিন, সামাদ, টিপু ও খোকন সহ আরো গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ওই সময় উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী আলম খান বলেন, পুণরায় গত ১২ জুলাই তারিখে আমার খরিদকৃত বাড়ি সম্পুর্ণ ভাংচুর করে বাড়িতে থেকে কেয়ারটেকার গোলেছা বেগমকে বের করে দেয় এবং আমাকে খুন খারাপ করার হুমকি প্রদান করে যায়। বর্তমানে আমি আতংকে এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছি। পুণরায় আমি ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানাই এবং রূপগঞ্জ থানার সার্কেল এএসপি সাহেবের সাথে আলােচনা করে ১২ জুলাই বর্ণিত আসামীগণের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।
তিনি আরও দাবি করেন- সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মামলার এবং খুনের মামলার আসামী যথাক্রমে- রূপগঞ্জ থানার মামলা নং, ৩৮(৬)১৪, ধারা-৩০২ মামলার কপিও এসপি ও ডিসি বরাবর অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আইনজীবী আলম খান আমাদের সার্কেল এএসপি স্যারের নিকট অভিযোগ করেছেন তার বাড়িঘর নাকি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।