সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
‘নিজে বাঁচুন, পরিবার, সমাজ ও দেশকে বাঁচাতে মাস্ক ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই বন্দর খেয়াঘাট দিয়ে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া চলাচল করতে না পারে সেজন্য এমপি একেএম সেলিম ওসমান বিশেষ আহবান রাখেন খান মাসুদের প্রতি।
গত ১৪ জুলাই মঙ্গলবার বন্দরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমানের বক্তব্যের এক পর্যায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে খান মাসুদকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, কেউ যেন মাস্ক ছাড়া নদী পাড়াপাড় হতে না পারে। এমপির কথার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ১৭ ঘন্টার মধ্যে কথা পালন করলেন খান মাসুদ।
মাস্ক ছাড়া বন্দর ১নং সেন্ট্রাল খেয়াঘাট দিয়ে কাউকে শীতলক্ষ্যা নদী পাড় হতে দিলে না নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। ১৫ জুলাই বুধবার সকালে প্রায় ৫ হাজার মাস্কবিহীন কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষকে ফ্রিতে মাস্ক পরিধান করিয়ে নদী পাড় হতে অনুরোধ করেন যুবলীগের এই নেতা। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নিজের ও পরিবারের জীবন রক্ষায় মাস্ক এবং হাত ধোঁয়ার বিষয় জনগণকে সচেতনতামূলক পরামর্শ দেন তিনি।
মাস্ক বিতরণ সময় যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুরর্ভাব সারা বিশ্ব গ্রাস করেছে। এই ভাইরাসে উন্নত দেশগুলোও অসহায়। কিছুতেই থামছেনা মৃত্যুর মিছিল। দেশের এমন ক্রান্তিলগ্নে শক্তভাবে চিকিৎসা সেবাসহ অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অদৃশ্য শক্তি করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করে দেশ উন্নয়নে বাজেট পাশের মধ্যদিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আমাদের নেত্রী বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
খান মাসুদ দাবি করেন- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতে নারায়ণগঞ্জ ৫-আসনের দানবীর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান ভাই নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থসহ ব্যপক সহযোগিতা করেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসীকে বাঁচাতে খানপুর ৩শ সয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে করোনা রুগীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জবাসীর দূর্ভোগ লাঘব করতে নিজস্ব অর্থায়নে করোনা টেষ্টের ল্যাবের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন দানবির এই সংসদ সদস্য। সেলিম ওসমান ভাইয়ের মতো এমন মহৎ এমপি খুব কমই আছে। এমপি সাহেব নিজে খুবই অসুস্থ তারপরও নিজের জীবনের পরোয়া না করে জনগণের কল্যাণ অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, যে এমপি নিজের জীবনের মায়া না করে জনগণের জীবন বাঁচাতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছেন আর আমরা জনগণ তা মানছি না। গতকাল সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে অনেককে মাস্ক ছাড়া দেখে অনেকটা রাগান্বিত হন তিনি। করোনা ভাইরাস একে অপরের মাঝে যেন না ছড়ায় সেজন্য সকলকে বাধ্যতামূলুক মাস্ক পড়তে বলেছেন। এবং আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন আমি যেন মাস্ক না পড়া ব্যক্তিদের মাস্ক পড়াতে বাধ্য করি। করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে এমপি সেলিম ওসমান ভাইয়ের নির্দেশ মতো কর্মজীবী ও সাধারণ জনগণকে বুঝিয়ে শুনিয়ে মাস্ক পরিধানে বাধ্য করিয়ে নদী পাড়াপাড় করছি। আর যাদের মুখে মাস্ক নেই আমার সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী ঘাটমাঝি, ইজিবাইক চালক,সিএনজি চালক, দোকানী ও পথচারীদের মাঝে ফ্রিতে মাস্ক বিতরণ করে শীতলক্ষ্যা নদী পাড়াপাড় করছি।
মাস্ক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন,বন্দর থানা যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম আহমেদ, ডালিম হাসান, যুবলীগ নেতা মোঃ হোসেন, খোরশেদ আলম, মোঃ বাবু মোল্লা, আরিফুল ইসলাম হীরা, মিলন আহমেদ, রাজু আহমেদ, আকিব হাসান রাজু, আরিফুল ইসলাম অপু, নুরুজ্জামান, আসিফ আলম, মোখলেস, আসিফ প্রধান, রাজিব, শেখ ফরিদ, নান্টু, অনিক, সাদ্দাম হোসেন, জীবন, নাসির ও সোহাগ প্রমূখ।