সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত এক সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ছাত্রদলের কর্মকান্ডে স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি উপটোকনের বিনিময়ে কমিটির নিয়ন্ত্রণ ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। দিপু ভুঁইয়ার ব্যক্তিগত এক কর্মী নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসাতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবকে ম্যানেজ করার চেষ্টায় নেমেছেন। রূপগঞ্জের ছাত্রদলের তিন কর্মীকে দড়ি দিয়ে বেধে পেটালেও জেলা ছাত্রদল চুপসে থাকায় নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন তারা দিপু ভুঁইয়ায় ম্যানেজ হয়ে গেছেন।
তবে কমিটির এমন খবরটি যখন নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তখন নেতাকর্মীরা রূপগঞ্জের ধনকুবেরের ‘টাকার বিনিময়ে কমিটি মানবো না’ শ্লোগানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধন করে নেতাকর্মীরা বাসায় যাওয়ার পথে ছাত্রদলের তিন কর্মীকে ভুলতা ফ্লাইওয়ারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সরকার বিরোধী কিংবা আওয়ামীলীগ বিরোধী কোন কর্মসূচি পালন করেনি। তারা ছাত্রদলের কমিটি যারা টাকার বিনিময়ে নিতে চায় এবং ত্যাগীদের মূল্যায়নের দাবিতে মানববন্ধন। এতে ছাত্রলীগ কেন এসে মারধর করলো? ছাত্রলীগের এমন নির্যাতনের পেছনে নিজ দলের নেতাকেই দায়ী করে আসছে নেতাকর্মী। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট করছেন নেতাকর্মীরা।
মুলত দিপু ভুঁইয়ার কর্মী নাহিদ হাসান ভুঁইয়াকে যেনো টাকার বিনিময়ে কমিটির নেতৃত্বে না দেয়া হয় সেই লক্ষ্যেই মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা। অথচ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে মারধর করলো ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। যে কারনে শুরু থেকেই দিপু ভুঁইয়ার সঙ্গে ছাত্রলীগের যোগসূত্র রয়েছে বলে ধারণা করেছিলেন। মারধরের পর বুঝা গেল ছাত্রলীগ দিপু ভু্ইঁয়ার পক্ষ নিয়েছে। গত কয়েকদিনে বিষয়টি ফেসবুকে স্পষ্ট করে তুলেছেন নেতাকর্মীরা।
১৭ জুলাই শুক্রবার ফারুক হোসেন নামের একজন বিএনপি নেতা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিন কর্মীকে মারধরের ছবি ও ছাত্রলীগের সঙ্গে দিপু ভুঁইয়ার ছবি পোস্ট করেন যা ছড়িয়ে পড়ে। ফারুক হোসেন লিখেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের লিজেন্ড নেতারা অবশ্যই বুঝবেন ছবি দুটির গুরুত্ব কি। এতকিছুর পরওও যদি ভুয়া গ্রুপ কোন পদপদবী পায় তবে বুঝবো ছাত্রদল টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। এ দলে রাজপথে ত্যাগী নেতাদেওর কোন মুল্য নাই। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলে বা রূপগঞ্জ ছাত্রদলে আবু সুলতান গ্রুপের কোন বিকল্প নাই। (প্রথম ছবিটি ভুলতা ফ্লাইওভার এ আবু গ্রুপের ছাত্রদলের কর্মীদের রেখেছে, দ্বিতীয় ছবিটি ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দেও সাথে দিপু ভুঁইয়া)।’ এভাবে তিনিও স্পষ্ট করেন। বিএনপির এই নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরের অনুগামী।
ছাত্রদলের তিন কর্মীকে বেধে মারধরের ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের কোন প্রতিবাদ না থাকায় নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন ইতিমধ্যে দিপু ভুঁইয়ার উপটোকনে ম্যানেজ হয়ে গেছেন। কারন ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও জেলা ছাত্রদল চুপ।
নেতাকর্মীরা বলছেন- শুরুতেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপির এক ধনকুবের নেতা তার অনুগামী কর্মীদের পদে বসিয়ে টাকার বিনিময়ে কমিটি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের বিষয়ে ‘টাকার বিনিময়ে কমিটি মেনে নেয়া হবে না’ দাবিতে মানববন্ধন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওই মানববন্ধনের পর বাসায় ফেরার পথে ছাত্রদলের তিন নেতাকর্মীকে ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করা হয়। ওই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়াকে দায়ী করছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, গত ১৫ জুলাই বুধবার ওই মানববন্ধন শেষে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জাহিদুল ইসলাম বাবু, আলামিন হোসাইন ও বিজয় হোসাইনকে ফ্লাইওভারের নিচে দড়ি দিয়ে বেধে নির্যাতন করে। বিএনপি নেতা দিপু ভুঁইয়ার ইন্ধনেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর এমন অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই দিন ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুমের বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায় সন্ত্রাসীরা।
এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। একইভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম ছাত্রদলের ওই তিন নেতাকে বেধে রাখার ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে এই ছবিটার চিত্রনাট্য লিখেছেন নিজ দলের এক ধনকুবের! যা সম্পূর্ণ পরিস্কারভাবে প্রস্ফুটিত হয়ে গেছে। মুখোশের উপরিভাগে ছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ। যাদের নাম শুনলে আগ থেকেই ঘৃনায় মুুখ ঘুরিয়ৈ নেন মানুুষজন।’ আবু মাসুমের এমন পোস্টে ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মী ভূঁইয়াকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে দিপু ভুঁইয়াকে এর জবাব ভবিষৎে দিতে হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন।
এর আগে দিপু ভুঁইয়াকে ইঙ্গিত করেই আবু মাসুম লিখেছেন, মন খারাপের সময় কাহারো অনুকম্পা ভাল লাগেনা, শুধু শিখতে চাই, ধন্যবাদ ভূঁইয়া সাহেব।’ পরবর্তীতে আবারও লিখেছেন, ‘প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর বিএনপি-রুপী দালালদের টনক নড়ছে! খেলা শেষ বৃথা চেষ্টা কইরা লাভ নাই। আমজনতার কাছে সব পরিষ্কার।’
অন্যদিকে এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি হওয়ার গুঞ্জনে প্রায় প্রতিদিনই স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। এসব বৈঠকে দাবি ওঠে কারো কাছ থেকে বিশেষ উপটোকনে ম্যানেজ নয় রাজপথের সক্রিয় কর্মীদের হাতেই তুলে দেয়া হোক উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি।
ওই সময় কেউ কেউ জানিয়েছেন- ছাত্রদলের কমিটির নিয়ন্ত্রণে নিতে স্থানীয় এক ধনকুবের নেতা মোটা অংকের উপটোকনে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের ম্যানেজ করে কমিটি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সবশেষ টাকার বিনিময়ে কমিটি মানিনা দাবিতে ১৫ জুলাই বুধবার মানববন্ধন করেন নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন- সম্প্রতি রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। কমিটিতে ব্যক্তি বিশেষের অনুগামী নিস্ক্রিয় কর্মীকে দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বিএনপির এক ধনকুবের নেতার অনুগামী নাহিদ হাসান ভূঁইয়া নামের এক ছাত্রদলের কর্মীর হাতে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছিল।
তাদের আরও দাবি- যদিও রাজপথের সক্রিয় ছাত্রদল নেতারা তাকিয়ে আছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবের দিকে। তারা আশা দেখছেন- কোন ধনকুবের নেতার বিশেষ উপটোকনে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ দুই নেতা ম্যানেজ হয়ে অযোগ্য বিতর্কিত ব্যক্তি বিশেষের অনুগামী কাউকে ছাত্রদলের শীর্ষ পদে বসাবেন না। ইতিমধ্যে উপজেলায় আওয়াজ ওঠেছে মোটা অংকের বিশেষ উপটোকন নিয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির ওই নেতা, যিনি রাজপথে নিজেও আন্দোলন করেন না এবং যারা তার চারপাশে চাটুকার শ্রেণির কর্মী তাদেরকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে পদে বসাতে কাজ করে আসছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানাগেছে, রূপগঞ্জের সন্তান দুলাল হোসেন ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি। গত কয়েক দশকে তিনিই ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের শীর্ষ এই পদে। বর্তমানে তিনিও রূপগঞ্জে মুলদলের রাজনীতিতে সচল। এ ছাড়াও এক সময় রূপগঞ্জে ছাত্রদলের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সেক্রেটারি মাহাবুব রহমান। এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল হক রিপন। তারও আগের কমিটিতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন মোশারফ হোসেন যার নিবাস রূপগঞ্জে। বর্তমান রূপগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রদলের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ছাত্রদলের এসব সাবেক নেতাদের পাশ কাটিয়ে নতুন কমিটি গঠনের চেষ্টা চলছে। তারা দীর্ঘদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করেছেন তাদের সঙ্গে থেকে রাজপথে যেসব ছাত্র নেতা আন্দোলন করেছেন তাদের ত্যাগের মূল্যায়নের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে রূপগঞ্জের রাজনীতিতে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূঁইয়া। যদিও গত ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর কাজী মনিরের ছায়াও রূপগঞ্জের রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে তৈমূর আলম খন্দকার ও দিপু ভুঁইয়াই রূপগঞ্জের বিএনপির মধ্যে আলোচনায়। যেখানে রাজনৈতিক কোন কর্মকান্ডে দিপু ভুঁইয়া সক্রিয় না থাকলেও দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটিতে তার চারপাশে ঘুরঘুর করা কর্মীদের বড় বড় পদে অধিষ্ট করার কাজটি ঠিকই করছেন। যাহোক এই তিন নেতার সঙ্গেও রাজনীতি করেছেন এমন ছাত্র নেতাও রয়েছেন বেশকজন।
এ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল মামুনের নিবাস রূপগঞ্জেই। এ ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল মালুম, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সজীব হোসেন। মশিউর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান, শ্যামল মালুম ছাড়া বাকিরা সবাই রূপগঞ্জের ছাত্র দলের রাজনীতিতে রয়েছেন।
স্থানীয় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বলছেন- ছাত্রদলের রাজনীতিতে বেশ সক্রিয়ভাবে রাজপথে আন্দোলন করে আসছেন ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, আজিম সরকার, সুলতান মাহামুদ, সজীব হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুম, সোহরাব হোসেন সহ বেশকজন ছাত্রদল নেতা। এসব নেতাদের পাশ কাটিয়ে নাহিদ হাসান ভূঁইয়া নামে একজনকে উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনার চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। যার বড় ভাই উপজেলা যুবদলের পাশাপাশি জেলা যুবদলের শীর্ষ পদে থেকেও রাজনীতিতে তার ভুমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
নেতাকর্মীদের দাবি- নাহিদ হাসান ভূঁইয়ার চেয়ে উল্লেখিত নেতাদের রাজপথে ঘাম রয়েছে বেশি। যারা হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নাহিদ হাসান ভূঁইয়ার সেই তুলনায় রাজপথে তেমন কোন ভুমিকা নাই। তার ভুমিকা স্থানীয় বিএনপির এক নেতার চারপাশে ঘুরঘুর করা। নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে ছাত্রদলের নেতৃত্বে বসানো হলে বঞ্চিত হবেন রাজপথের নেতাকর্মীরা। সেই সঙ্গে প্রমাণিত হবে বিশেষ সুবিধায় কমিটি গঠন করা হয়েছে যেখানে নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। কারন নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে নেতৃত্বে বসাতে মোটা অংকের উপটোকন নিয়ে নেমেছেন বিএনপির একজন ধনকুবের নেতা।
তবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি বরাবরই দাবি করে আসছেন- কেউ কোন বিশেষ সুবিধা দিয়ে কিংবা উপটোকন দিয়ে বা চাপ প্রয়োগ করে কমিটি নিতে পারবেনা। যারা রাজপথে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছেন এবং যোগ্য তাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেয়া হবে।