সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর প্রতি আবারো অনুরোধ রেখে এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি একটি অনুষ্ঠান থেকে সিটি মেয়রের কাছে অনুরোধ রেখেছিলাম যাতে করে ফুটপাতের ভাসমান দোকানদারদের ঈদ পর্যন্ত বসার সুযোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যাতে করে এই সুযোগে তারা ছত্রতত্র দোকানপাট বসাতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর দৃষ্টি রাখার জন্য।
তিনি বলেন, আমি সিটি মেয়র, ডিসি এবং এসপির কাছে অনুরোধ করবো ঈদের ছুটির পর যাতে করে তাদের ফুটপাতে আর না দেখা যায়, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সড়ক চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে যাতে করে সাধারণ মানুষের হাটাচলার কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আমরা পরবর্তীতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার একত্রে বসে হকারদের কিভাবে সহযোগীতা করা যায় আলোচনার মাধ্যমে সেটি সমাধানের চেষ্টা করবো।
‘সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ রাখবো যাতে করে নারায়ণগঞ্জ বাস টার্মিনাল, নিতাইগঞ্জ ট্রাক স্ট্র্যান্ড এবং লিংক রুটের কোথাও যত্রতত্র যানবাহন ফেলে রেখে যানজটের সৃষ্টি না করা হয় সে ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জানাগেছে, বিকেএমইএ স্টাফদের ২ দিনের বেতনের টাকা দিয়ে ২০৫ টাকা করে দেড় হাজার প্যাকেট, সেই সাথে সংগঠনটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ৫’শ প্যাকেট সহ মোট ২ হাজার প্যাকেট গুড়ো দুধ অসহায় শিশুদের মাঝে বিতরণের জন্য নারায়ণগঞ্জে করোনায় কাজ করা ৪ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যার মোট মূল্য ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
১৮ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয় থেকে মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ‘ওরা ১১জন’র দলপতি রিপন ভাওয়াল ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না সহ প্রত্যেকের কাছে ৫’শ প্যাকেট করে গুড়ো দুধ তুলে দেন এমপি। ওই সময় এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, বিকেএমইএ এর সিইও সুলভ চৌধুরী সহ বিকেএমইর সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দরা।
এ সময় এমপি সেলিম ওসমান বন্দর খেয়াঘাটের পূর্ব পাড়ে দিদার খন্দকার এবং পশ্চিম পাড়ে যুবলীগ নেতা খান মাসুম গত কয়েকদিন যাবত সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে এবং করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে বিনামূলে মাস্ক বিতরণ করে যাচ্ছেন। তাদেরকে দুইজনের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এমপি সেলিম ওসমান।
সেই সাথে তিনি সকলের প্রতি আহবান রেখে বলেন, এমন জনহিতকর কার্যক্রম যদি সকলে দলমত নির্বিশেষে চালিয়ে যান তাহলে আশা করি করোনা ভাইরাসে রেড জোন খ্যাত নারায়ণগঞ্জকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রীণ জোনে পরিনত করা সম্ভব হবে।
এখানে উল্লেখ্যযে, এর আগে ১৪ জুলাই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ২ হাজার প্যাকেট গুড়ো দুধের প্যাকেট বন্দরের অসহায় পরিবারের শিশুদের মাঝে বিতরণের জন্য পৌছে দেওয়া হয়েছে।