সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, অবশ্যই আমরা পাপ করেছি। আর আল্লাহ সে পাপের শাস্তি দিচ্ছেন।
এমপি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, বন্দরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনো কমেনি। পরীক্ষার সংখ্যা যেমন সংক্রমণ সংখ্যাও তেমন। এটা আমাদের মনের প্রশান্তি মাত্র। আসলে ঠিকমত টেস্ট করালে পজেটিভ কত হবে তা চিন্তার বাইরে। তবে আমাদের সামান্য সচেতনতাই পারে এই মহামারীকে রুখতে।
তিনি করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বলেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে বড় হাসপাতালের প্রয়োজন নেই। নিয়মিত মাস্ক পড়ুন দিনে অন্তত ৬বার হাত ধুয়ে নিন ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল খান এবং গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এগুলো সবই কার্যকর। সবাই একসাথে কাজ করলে এটা আমাদের জন্য মহামারী হবে না।
তিনি বলেন, এই বন্দরেই দেশের প্রথম কেউ করোনায় মৃত্যুবরণ করে এবং নারায়ণগঞ্জেই প্রথম করোনা রোগী পাওয়া যায়। তবে সবাই এই নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে অনেক হাসি ঠাট্টা করেছে। ইতিহাস ঘাটলেই দেখবেন নারায়ণগঞ্জ থেকেই ভাষা আন্দোলনের সুত্রপাত। তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদেরও। অতএব নারায়ণগঞ্জের মানুষও জবাব দিয়ে দিয়েছে। ৬৪ জেলার মানুষ এখানে উপার্জন করতে আসে। শুধু নারায়ণগঞ্জবাসী দায়ী নয়। ইনশাআল্লাহ আমার বিশ্বাস নারায়ণগঞ্জবাসী অচিরেই এই করোনা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশবাসীকে দেখিয়ে দেবে।
১৯ জুলাই রবিবার সকালে বন্দরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে উপজেলার স্বাস্থ্য খাতে সার্বিক উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আমরা ঢাকার পার্শবর্তী হওয়া চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়া একটি অভ্যাস হয়ে গেছে। তবে এই জেলায় চিকিৎসার অভাব অস্বীকার করতে পারি না। এখানে চিকিৎসায় আমাদের আস্থা হারিয়ে গেছে। তবে ডিসেম্বর এর মধ্যে খানপুরে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৬ তলা ফাউন্ডেশন সহ ৪ তলা ভবন তৈরি করা হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, এই মুজিববর্ষে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যা ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতালকে ৩০০ শয্যা রুপান্তরিত করা হবে। প্রয়োজনে আমরা মেয়রের সহযোগিতা নিব। আশা করি নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসায় জনগণের আস্থা ফিরে আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মেহবুবা সাঈদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরিন, বন্দর থানা পুুলিশের অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা প্রমূখ।
অনুষ্ঠান শেষে ৫চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বন্দরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্নয়ন ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রায় ৫৯ লক্ষ৬০হাজার টাকার চেক এমপির হাতে হস্তান্তর করেন।