সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে ছাত্রদলের কমিটি গঠন শুরু হয়েছে। এরি মাঝে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন বিভিন্ন থানা/উপজেলা, কলেজ ইউনিট কমিটিগুলো গঠনে নেমেছেন জেলা ছাত্রদলের নেতারা। গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ক্রাইটেরিয়ায় নেতৃত্বে পেতে হলে কি কি যোগ্যতা লাগবে নির্ধারণ করা হয়। যার ফলে বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা বাদ পড়েছেন। কেউ কেউ ছাত্রদলের আশা ছেড়ে যুবদলের রাজনীতিতে জড়িয়েছেন।
এদিকে জেলার রূপগঞ্জে ইতিমধ্যে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশি নেতারা ত্যাগের মুল্যায়ণ চেয়ে মাঠে নেমেছেন। মানববন্ধনও করেছেন। বেশ আলোচনা সমালোচনা চলছে রূপগঞ্জ ছাত্রদলের কমিটি গঠনের বিষয়টি নিয়ে। একইভাবে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়েও কমিটি গঠনের বিষয়ে সক্রিয় রয়েছেন ছাত্রদলে পদ প্রত্যাশিরা। এখানকার নেতাদেরও দাবি যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন এবং হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন নেতাদের হাতেই যেনো কমিটির নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত ও তরিকুল ইসলাম সরকার সোনারগাঁও উপজেলার সন্তান। একইভাবে সোনারগাঁয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি করেছেন আশরাফ মোল্লা, ইকবাল হক ভূঁইয়া, কাউসার আহমেদ, রিপন সিকদার, রুবেল হোসাইন, ইয়ামিন সহ আরও বেশকজন ছাত্রদল নেতা। আশরাফ মোল্লা বর্তমানে যুবদলের রাজনীতিতে। দেশের বাহিরে রয়েছেন ইকবাল। বাকিরা সামনের নেতৃত্বে থাকতে পারবেন নতুন ক্রাইটেরিয়ার কারনে।
এসব কারনে এবার সামনের সারিতে আলোচনায় রয়েছেন ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম, দিপু আহমেদ, সানি আহম্মেদ, শাকিল আহম্মেদ, আদিত্য রহমান ফরহাদ, রিফাত আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম রাজ, সরফরাজ শরীফ ও আশিকুজ্জামান অনিকের মত আরও বেশকজন নেতা।
ছাত্রদলের স্থানীয় সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের অনেকের দাবি এসব নেতাদের মাধ্যমেই সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হলে দীর্ঘদিনের প্রত্যাশ ঘুচবে। সেই সঙ্গে ছাত্রদলের রাজনীতি সোনারগাঁয়ে ফিরে আসবে। নেতৃত্ব দেয়ার মত এসব নেতাদের মাঝে সেই স্পৃহা ও রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রয়েছে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি- কারো গ্রুপিং কিংবা লবিং বা অর্থের বিনিময়ে যেনো কোন পকেট কমিটি গঠন করা না হয়। যোগ্যতা ও সক্রিয় ভুমিকা ও সেই সঙ্গে ত্যাগের মুল্যায়নের মাধ্যমে যেনো সোনারগাঁয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। যদি আহ্বায়ক কমিটিও হয় সেক্ষেত্রে যেনো কোন কারসাজির সুযোগ তৈরি না হয়।
অন্যদিকে আরও জানাগেছে, গত ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কার্যনির্বাহী সভায় সারাদেশে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় মেনে কমিটি গঠন করতে হবে তার নির্ধারণ করা হয়। যথাঃ-
বিভিন্ন ইউনিট কমিটির ক্রাইটেরিয়া বা পদ প্রার্থিতার বৈশিষ্ট্যঃ
★ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাংগঠনিক জেলা ও জেলা সমমান শাখার (জেলা, মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয়) পদ প্রত্যাশী প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে এবং বয়সসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রার্থীর এসএসসি পাশের সন কোনভাবেই ২০০৩ সালের পূর্বে হতে পারবেনা।
★ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাংগঠনিক উপজেলা ও উপজেলা সমমান শাখার (উপজেলা, থানা, পৌর ও কলেজ) পদ প্রত্যাশী প্রার্থীকে অবশ্যই অবিবাহিত হতে হবে এবং বয়সসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রার্থীর এসএসসি পাশের সন কোনভাবেই ২০০৫ সালের পূর্বে হতে পারবেনা।
★বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে অবিবাহিত হওয়ার সাথে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ছাত্রত্ব থাকা বাধ্যতামূলক।
★ ঢাকা মহানগরে অবস্থিত সাংগঠনিক জেলা সমমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদ প্রত্যাশীদের এসএসসি পাশের সাল ২০০৫ এর পূর্বে হতে পারবে না।
★ ঢাকা মহানগরে অবস্থিত উপজেলা সমমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদ প্রত্যাশীদের এসএসসি পাশের সাল ২০০৭- এর পূর্বে হতে পারবে না।
★ উন্মুক্ত ও কারিগরির সার্টিফিকেট (বয়স সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে) গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
★ আহ্বায়ক কমিটিতে কেবল আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব সাইনিং পাওয়ারের অধিকারি হবেন।
★ জেলা কমিটির সুপার ফাইভ ব্যতিত অন্যরা উপজেলার আহ্বায়ক কমিটিতে প্রার্থী হতে পারবেন।
★ আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ জেলা, জেলা সমমান ৯০ (নব্বই) দিন ও উপজেলা, উপজেলা সমমান ৬০ (ষাট) দিন এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ৩০ (ত্রিশ) দিন ধার্য করা হলো।
★ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সংখ্যা জেলা, জেলা সমমান ৩১জন, উপজেলা, উপজেলা সমমান ২১জন ও ইউনিয়ন-ওয়ার্ড ১১ জন নির্ধারণ করা হয়েছে।
★ ছাত্রী নেত্রীদের বৈবাহিক অবস্থা শিথিলযোগ্য।
★জেলা, জেলা সমমান, উপজেলা, উপজেলা সমমান ছাত্রদলের কমিটিতে কোন পদে প্রার্থিতার ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি উত্তীর্ণ হতে হবে।