সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাত থেকে মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের লোকজনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টির লোকজন। এর আগে জিএম আরাফাতের লোকজন মন্টির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। তবে দুটি অভিযোগেই তাদের দুজনের নাম উল্ল্যেখ করা হয়।
জানাগেছে, ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে জাহিদ হাসান সিকু নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়- জাহিদ সহ তার পার্টনার ৪ জন মিলিত হয়ে হকার্স বিদ্যুৎ বিতায়ন নামে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এটি অবস্থানরত ছিল ২নং রেলগেট সংলগ্ন চেম্বার রোড ফকিরটোলা মসজিদের দক্ষিণ পাশে।
তিনি আরও দাবি করেন- আমার সহযোগী পার্টনারদেরকে সমাজের চোখে হেয় করার জন্য আমাদের নামে গত ২৯ জুলাই দুপুরে এসপির কাছে অভিযোগ দেন ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখী হয়।
আরও দাবি করা হয়- আমার ২জন পার্টনার আলামিন ও ইসমাঈল খারাপ চরিত্রের বাড়াটিয়াদের নিয়ে মানহানিকর বিভিন্ন কর্মকান্ড করছে।
লিখিত অভিযোগে জাহিদ সিকু বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করলে আইনের লোক দেখতে পাবেন ফুটপাতে কারা চাঁদা তুলছে। চাঁদাবাজি করছে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা জি.এম আরাফাতের লোকজন। তারা হলো- টিটু ওরফে কেটু, রবিন, ফাহিম, সাহেদ সহ বেশকজন।
অন্যদিকে ঈদ উল আজহার পূর্বে মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টির নেতৃত্বে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ করা হয়। গত ২৯ জুলাই বুধবার দুপুরে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে এ অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। দুই পাতার অভিযোগপত্রে ৩৭ জন হকার স্বাক্ষর করেন।
অভিযোগ করা হয়, শহরের ২নং রেলগেট সিটি করপোরেশনের পাবলিক টয়লেট থেকে ১নং রেলগেইট বন্ধন পরিবহনের কাউন্টার পর্যন্ত ফুটপাতের হকার বসে। আওয়ামীলীগের সরকার আমলে আমরা কখনো কোন বিষয়ে চাঁদা বা সালামী দেয়া হতো না। কিন্তু দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ মাস যাবৎ ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পুরো এলাকার দোকান প্রতি বিদ্যুৎ বিল নামে ২০ টাকা করে উত্তোলন করে। আমাদের এই হকারদের মধ্যে কোন কমিটি বা ইউনিয়ন না থাকায় , এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারতাম না।
২১ জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেম্বারের হকারদের কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে ও এখন থেকে ২০ টাকার বদলে ৪০ টাকা করে দোকান প্রতি দেওয়ার চাপ দেয় চাঁদাবাজ সিকু, মোতালেব, মিরাজ সহ ৪ থেকে ৫জন। এতে চাঁদাবাজ উদ্দেশ্যে আমরা বলি, আপনার নেতার সাথে সাক্ষাত করার ব্যবস্থা করে দিন। তাকে ঈদকে সামনে রেখে বুঝিয়ে আমরা ২০ টাকা করে ধারাবাহিকতা রাখি। এতে চাঁদাবাজরা বলেন,‘ নেতা পাক্কা রোড আছে, এখানে আসবে না। তিনি বলে দিসে এই টাকায় দিতে হবে।’
এসময় জড়ো হওয়া হকারদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে চাঁদাবাজরা। এ সময় চাঁদাবাজদের মধ্যে সিকু ও মিরাজ আরেক চাঁদাবাজাকে বলে উঠে, ‘ওই মন্টি ভাই সেন্টু ভাইরে ফোন লাগা, ওগো দেখাইয়া দিুম, উঠাইয়া দিমু। এমন উচ্চ সুরে কথা, হকাররা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ হয়ে চাঁদাবাজ সিকু, মোতালেব, মিরাজ সহ ৪ থেকে ৫জনকে দেওভোগের দিকে ধাওয়া দেয়।