সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির রাজনীতি এখন পুরোপুরি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর নির্ভরশীল। রাজনীতির শুরু থেকেই টেবিল রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি আবুল কালাম মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ নিয়ে বরাবরের মতই বর্তমান রাজনীতিতেও উধাও। সেক্রেটারি এটিএম কামাল রয়েছেন আমেরিকায়। গত মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
তবে মহানগর বিএনপির সম্মান রক্ষা করেছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। যিনি মহানগরী ও এর বাহিরেও কয়েক হাজার গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাদ্য সামগ্রী, ঈদ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে সমস্যায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশেও দাড়িয়েছিলেন সাখাওয়াত। অথচ মহানগর বিএনপির অন্য সব নেতারা তো গরীব অসহায় মানুষের ছিলেনই না বরং কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের দেয়া লাখ টাকা বিতরণেও গড়বর করার অভিযোগ ওঠেছিল।
গত ৮মার্চ সর্বপ্রথম দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা হয়। তিনজনের মধ্যে দুজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। তারপর থেকে গত ২৫ মার্চ থেকে সরকারি বেসরকারি সহ সকল আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম বিপাকে পড়ে যায় খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় গরীব পরিবারগুলো। এমন পরিস্থিতিতে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজ হাতে অসহায় পরিবারগুলোর মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান। তিন দফায় তিনি এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। মহানগরীর বাহিরেও বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন এলাকায়ও গিয়ে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে বিএনপির যেসব নেতাকর্মীরা সমস্যায় ছিলেন ঈদ উল ফিতরে তাদের মাঝেও ঈদ উপহার বিতরণ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি গোপনে বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশেও দাড়িয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামালের কোন ছায়াও দেখা যায়নি গরীব অসহায় মানুষের পাশে। একবার শুধু চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণে আবুল কালামকে দেখা গেলেও আর পাওয়া যায়নি। তার ছেলে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসার আশা তার নির্বাচনী ওয়ার্ডে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন একবার। এটুকুই ছিল মহানগর বিএনপির নেতাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ঘটনা। এরি মাঝে যখন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ মহানগর বিএনপির দুই নেতার হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন অসহায় কর্মীদের মাঝে বিতরণের জন্য, তখন সেই টাকা বিতরণ নিয়ে আত্মাসাতের অভিযোগ তুলেন নেতাকর্মীরা। করোনায় মহানগর বিএনপির নেতাকর্মী ও মহানগরীর অসহায় মানুষ করুণ পরিস্থিতিতে কাটালেও আয়েশী জীবন যাপনে আমেরিকায় রয়েছেন এটিএম কামাল।