সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আওতাধীন সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। নেতৃত্ব প্রত্যাশি কেউই চাচ্ছেন না সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হোক। সবাই প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও সেক্রেটারি গোলাম ফারুক খোকনের এক কাগজে স্বাক্ষরে সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিতে।
নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণে নয় ম্যানেজ লবিং গ্রুপিংয়ে এবঙ টু পাইস তহুরি দিয়ে কমিটির নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছেন যুবদলের নেতারা। আহ্বায়ক কমিটির দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও একটি ইউনিয়ন কমিটি গঠনেও কাজ করতে পারেনি। এরি মাঝে উপজেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভাগিয়ে নিতে মাঠে নেমেছেন যুবদল নেতা। যার ফলে নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়েও হিমশিম খাচ্ছেন জেলার দুই শীর্ষ নেতা।
জানাগেছে, কয়েক মাস পূর্বে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান স্বপনকে আহ্বায়ক ও আশরাফ ভুঁইয়াকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে জেলা যুবদল। কমিটি গঠনের শুরু থেকেই যুবদলের রাজনীতিতে আশরাফ ভুঁইয়ার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
গত ৬ মার্চ ঘোষিত ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ১৯জনকে সদস্য পদে রাখা হয়েছে। কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রয়েছেন নুরে ইয়াসিন নোবেল, আশরাফুল আলম প্রধান, আশরাফ মোল্লা, পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী চপল, কামাল হোসেন, রাসেল রানা, আব্দুল আলী, কাওসার হোসেন, আমির হোসেন, মোঃ কাওসার ও আবু তাহের।
এ ছাড়াও সদস্য পদে মাসুম রানা, নিজাম উদ্দিন, শাহিন আলম জুবায়ের, আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ ইয়াসিন, ইউনুস মিয়া, সুমন মিয়া রান্টু, মোঃ আতাউর রহমান, মোফাজ্জল হোসেন হিমেল, মকবুল হোসেন, নোবেল মীর, মতিউর রহমান মতি, আমিনুল ইসলাম, খন্দকার রেজাউল, অলিউর রহমান, শাহ আলম ও আল আমিন মোল্লা।
এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন- জেলা যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি কাগজে পকেট কমিটি ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর থেকে করোনা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। যার কারনে সোনারগাঁয়ে যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে পারেনি। উপজেলার মধ্যে একটি পৌর ও ১০টি ইউনিয়ন এলাকা। যার মধ্যে ১০টি ইউনিয়ন উপজেলা যুবদলের আওতাধীন যেখানে কমিটি গঠনের কোন চেষ্টাই করতে পারেনি করোনা পরিস্থিতির কারনে। এখন সেই চেষ্টা বাদ দিয়ে পকেট কমিটি ভাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। যে কারনে যে যার মত করে চেষ্টা লবিং গ্রুপিং করছেন পদ ভাগিয়ে নিতে।
এই করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে যুবদলের কমিটি গঠিত হলেও করোনায় নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেয়ার সুুযোগ থাকলেও সেটা করেনি তারা। করোনায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো যখন অসহায় জীবন যাপন করছিলেন তখন যুবদলের দুএকজন নেতাকে বাদে আর বাকিদের দেখা যায়নি অসহায় মানুষের পাশে। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই শহিদুর রহমান স্বপন ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন। খাদ্য সামগ্রীও দিয়েছেন তিনি। যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়াও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। কিন্তু বাকিদের ভুমিকা কি ছিল করোনা পরিস্থিতিতে? যুবদলের যে সব কর্মীরা অসহায় দিনযাপন করছিলেন তাদের পাশেও দাঁড়াননি নেতৃত্ব প্রত্যাশি নেতারা। এখন চাচ্ছেন পকেট কমিটির মাধ্যমে পদ ভাগিয়ে নিতে। যে কারনে সোনারগাঁয়ে যুবদলের কমিটি গঠনে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা।
অন্যদিকে সোনারগাঁও থেকে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন জিয়াউল হক চয়ন ও সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন হারুন অর রশিদ মিঠু। উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠন কিংবা উপজেলা যুবদলের রাজনীতিতে দিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথ্যাও দেখা যাচ্ছেনা। তারাও রয়েছেন ব্যাকফুটে।