সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ও পৌর এলাকায় কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এই কর্মসূচির মুল উদ্যোক্তা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু।
সেই ভোজের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে গরু সহ খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের হাতে। সেই ধারাবাহিকতায় সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লার কাছেও একটি গরু পাঠানো হয়। কিন্তু সেই গরু গ্রহণ না করে তা প্রত্যাখান করেছেন তিনি।
চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা সাদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি পদেও রয়েছেন। তিনি মুলত সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের বলয়ে রাজনীতি করেন। এখন কায়সার হাসনাতের সঙ্গে মিলিত হয়ে রাজনীতি করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামও।
আগের দিন ১৪ আগস্ট শুক্রবার জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী বিরু বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় একটি করে গরু বিতরণ করেন। কয়েকটি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গরু গ্রহণ করলেও সাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লাকে কাঙ্গালীভাজের জন্য দেয়া গরুটি ফিরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন করে গরু রাখতে অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান গরু ফেরত দিয়ে চেয়ারম্যান জানান তিনি নিজেই জাতির জনকের শাহাদাতবার্ষিকীতে মহিশ কিনে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করেছেন। অন্য কাউকে গরু দিয়ে দেয়ার কথা বলেন। পরে চেয়ারম্যান গরুটি গ্রহণ না করায় সাদিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশ নেতাকর্মীদের মাঝে গরুটি বিতরণ করা হয়।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা মিডিয়াতে বলেন, আমার নিজের উদ্যোগে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে একটি মহিশ কিনেছি। আমার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে শাহাদাৎবার্ষিকী পালন করছি। তাই বিরুর দেওয়া গরু আমি গ্রহণ করি নাই।
অন্যদিকে জাতীয় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠানে মাহফুজুর রহমান কালাম জানিয়েছেন- সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগের কমিটি এখন রাজাকার ও রাজাকারদের সন্তানদের হাতে চলে গেছে। এর আগেও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পরেও তিনি এ কথা বলেছিলেন। তবে তিনি কাকে রাজাকার ও রাজাকারের সন্তান বলেছেন সেটা স্পষ্ট করেননি।