সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০১৭ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। বছর দুয়েক পর জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি ছিলেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। করোনা পরিস্থিতির কারনে হয়ে ওঠেনি জেলা বিএনপির নতুন কমিটি। ফলে নেতৃত্ব শূণ্য জেলা বিএনপি। তবে কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের ব্যর্থতার কারনে ফের জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আলোচনায় অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- ২০০৯ সালের ২৯ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনে এসে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। কমিটিতে সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সেক্রেটারি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। কমিটি গঠনের পর বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজপথের আন্দোলনের কোনটাতেই ছিলেন না কাজী মনিরুজ্জামান মনির।
যার ফলে পুুরো জেলা চষে বেড়িয়েছেন তৈমূর আলম। এককভাবে তৈমূর আলম খন্দকার তখন পুুরো জেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন। সিটি কর্পোরেশন না হওয়ায় শহর এলাকার নিয়ন্ত্রকও ছিলেন তৈমূর। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৭টি বছর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি থেকেও তৈমূর আলম ও কাজী মনির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। ওই সময় তৈমূর আলম খন্দকারের এই বিরাট ব্যর্থতা থাকলেও তিনি সর্বত্র রাজপথে ছিলেন সক্রিয়। একাই নেতাকর্মীদের নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তৈমূর। কিন্তু প্রতিটি এলাকায় বিএনপির কমিটি গঠনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে ছিল ধীরগতি। যার মধ্যে রয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনাও। কারন কাজী মনিরের কোন ধরণের সহযোগীতা তৈমুর আলম পাননি।
এত্তসবের মাঝেও তৈমূর আলম খন্দকারের আমলে নানা আলোচনা সমালোচনা নিয়েও দলের প্রয়োজনে যতটুকু কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন সেই অনুপাতে তার সামান্যতমও ভুমিকা রাখতে পারেনি কাজী মনির ও মামুন মাহামুদের বিলুপ্ত কমিটি। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ায় তাদের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা চাষাড়া বালুর মাঠের গলি পেরিয়ে অলিগলির রাস্তায় নেমেও মিছিল করতে পারেনি বিলুপ্ত কমিটির নেতারা। চাষাড়া বালুর মাঠের গলিতেও কাজী মনিরের সক্রিয়তা দেখা যায়নি।
নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলম খন্দকারের আমলে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজপথে লড়াই ছাড়া পুলিশের কাছে সারেন্ডার করেননি তৈমূর। ২০১১ সালে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়েছিলেন তৈমূর আলম। হরতাল অবরোধে স্বশরীরে উপস্থিত থেকেছেন তৈমূর আলম। সব সময় দলের পক্ষে জোড়ালো অবস্থান ও বক্তব্য ছিল তৈমূর আলমের অগ্নিঝরা কন্ঠে।
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে মাসের পর মাস আত্মাগোপনে থেকেছিলেন। কিন্তু হরতাল অবরোধে তিনি ঠিকই উপস্থিত হতেন। এসব কারনে বর্তমানে জেলা বিএনপির একমাত্র প্রতিদ্বন্ধিহীন যোগ্য নেতৃত্ব তৈমূর আলম খন্দকার। মুলত কাজী মনিরের চরম ব্যর্থতার কারনেই আবারো ফিরতে যাচ্ছেন তৈমূর আলম।