সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুস ছোবহানের বড় ছেলে মহিন আহম্মেদ হত্যাকান্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে ও দ্রুত থানায় মামলা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়ে ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মদনপুর থেকে মদনগঞ্জ সড়কের ধামগড় স্ট্যান্ড এলাকায় ইউনিয়নের জনগণ ও নিহতের স্বজনেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন।
বিক্ষোভকারীরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ‘মহিন তার বন্ধু আনন্দের সাথে গার্মেন্টেসের ঝুটের ব্যবসা করতো এবং এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছিল। মহিনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে রবিবার দাওয়াতের কথা বলে তার আরেক বন্ধু আল আমিনের শ্বশুড় বাড়ি সোনারগাও উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আল আমিন, আনন্দ এবং আরো দুই অজ্ঞাত বন্ধুরা মিলে খাবারের সাথে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে মহিনকে খাওয়ায়।
রাতে বাড়িতে এসে মহিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অনবরত বমি করতে থাকে। এ অবস্থায় রাত ১১ টায় তাকে মদনপুরের দি বারাকাহ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ভোর ৪ টায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১টায় মারা যায় মহিন এবং এলকোহল পয়সনিং এ তার মৃত্যু হয়েছে বলে মিডফোর্ড হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় বন্দর থানায় নিহতের স্বজনেরা মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি।
মহিনের পিতা আব্দুস ছোবাহানের অভিযোগ, তার ছেলেকে দাওয়াতে নিয়ে এলকোহল জাতীয় বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে দেয়া হয়েছিল যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে। মহিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো এবং সে ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশি। করোনাকালীন সময়ে ধামগড় ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য হিসেবে ও মাসুম চেয়ারম্যানের ডাকে সাড়া দিয়ে মানবসেবায় ধামগড় সংগঠনের সদস্য হিসেবে করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনেও সম্পৃক্ত ছিলো। ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার দাবী করেন।
এদিকে মহিনের রহস্যজনক মৃত্যুর ৪দিন দিন পার হলেও বন্দর থানায় মামলা না নেয়ার স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এডভোকেট ইসহাক মিয়া, ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী নাসির উদ্দিন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ তদন্ত সাপেক্ষে মহিন হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মহিনের বন্ধু আল আমিন ও আনন্দ উভয়ে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, ‘নিহতের স্বজনদের থানায় আসতে বলুন। মামলা নেয়া হবে।