সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বগ্ধ রোগীদের ভর্তি করা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে দ্বগ্ধ রোগীদের বিষয়ে তাদের স্বজনদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি টিম ও ডিবি পুুলিশ সেখানে সেবা প্রদান করছেন। জেলা পুুলিশের পরিদর্শক এসএম শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য পুুলিশ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে ৪সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতেই জুয়েল নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় মোট ৪০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের সবার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দগ্ধ।
নিহতদের মধ্যে নয় জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- রিফাত, হুমায়ুন কবির, মুস্তফা কামাল, জামাল, জুনায়েদ, জুয়েল, ইব্রাহিম, দোলোয়ার হোসেন, কুদ্দুস ব্যাপারী।
বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে মোট ১১ জনের মৃত্য হয়েছে। তাদের বয়স ৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দগ্ধ অন্যদের সবার অবস্থাও শঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।
এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, দগ্ধদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জন আহত হন। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে ১১জনের মৃত্যু হলো।