সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নানা আলোচনা সমালোচনা ও বাধা বিপত্তির পরে চূড়ান্তভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে বৈধতা পায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি। কমিটি গঠনের শুরুতে নানা বিতর্ক থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি।
কারন দায়িত্ব নিয়ে হাই ও বাদলই এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন। নানা বাধা বিতর্ক সৃষ্টি হলে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত বৈধতা পায় এই কমিটি। উপজেলা আওয়ামীলীগের এই কমিটি গঠনের পেছনে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি একেএম শামীম ওসমানের সমর্থন ছিল। যার ফলে শামীম ওসমানের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। ফলে এই তিন নেতার আস্থা রাখলো উপজেলা আওয়ামীলীগ।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে- গত মার্চ মাস থেকে করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যেভাবে কাজ করেছে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ তা অন্যান্য উপজেলা/থানায় আওয়ামীলীগের এতটা ভুমিকা দেখা যায়নি। টানা কয়েক মাস যখন দেশের সকল মানুষের আয়ের সব পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন গরীব অসহায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম উপজেলার পৌর এলাকা সহপ্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
দুটি ঈদে তিনিও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। করোনায় নিরাপত্তার স্বার্থে থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্য পিপিই ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের তিনি সহায়তা করেছেন। শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধাদের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। বেদে সম্প্রদায় ও হিজড়া সম্প্রদায়ের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। সেই সঙ্গে পিরোজপুর ইউনিয়ন এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধের ত্রাণ বিতরণ সহ নিজ উদ্যোগেও খাদ্য সামগ্রী প্রায় প্রতিটি এলাকায় বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান মাসুম।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগের সদস্য আবু জাফর চৌধুুরী বিরুও আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তিনিও দুটি ঈদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। যেখানে জেলার নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুঁইয়াও উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কোন কর্মসূচিই সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগ পালনে কার্পণ্য করছেন না। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট উপলক্ষ্যে বেশকটি কর্মসূচি পালন করেছেন। শোকের মাসে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। জাতির জনকের প্রতি যথাযোগ্য মর্যাদায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামীলীগ।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- এ ছাড়াও ধীরে ধীরে উপজেলা আওয়ামীলীগ আরো সু-সংগঠিত হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরাও সামসুল ইসলাম ভুঁইয়া ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের নেতৃত্বে রাজনীতিতে জোড়ালো হচ্ছেন। সাবেক নেতাদের কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে উস্কানী ও উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও সেই সব বিষয়ে শান্তভাবেই জবাব দিচ্ছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। যার বেশির ভাগ প্রশংসার দাবিদার ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।
অন্যদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন-এখানকার আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এইচএম মাসুদ দুলাল ঐক্যবদ্ধ হলেও করোনায় জনগণের মাঝে তাদের ভুমিকা ছিল ক্ষীণ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কালামের কিছুটা যোগাযোগ থাকলেও বাকিদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের কোন যোগাযোগ নেই।
যার ফলে একদিকে এসব নেতাদের ব্যর্থতা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান কমিটির নেতাদের নানা প্রশংসনীয় কর্মকান্ডের সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে পাকাপোক্ত হচ্ছেন সামসুল ইসলাম ভুইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও আবু জাফর চৌধুরী বিরু। যার ফলে আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা এইচএম মাসুদ দুলালের নেতাদের রাজনীতি হুমকির মুখে।