সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত সকলের প্রত্যেকের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
৭ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ১০ জন।
এদিন দুপুরে তৈমূর আলম খন্দকার হাইকোর্টে বিচারপতি জেবিএম ও বিচারপতি খায়রুল আলমের আদালতে ওই রিট আবেদন করেন। আদালত ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। তিনি জানান, এ ঘটনায় নিহত ও আহত প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আদালতে রিট করেছি। সোমবার শুনানী হবে। আমরা আশা করি আদালত আমাদের আবেদন শুনবেন। কারণ এটা মানবসৃষ্ট একটি দুর্ঘটনা। গাফিলতির কারণেই এ বিস্ফোরণ থেকে এতগুলো মানুষ হতাহত হয়েছে। যাদেরকে জনগণের সেবা দেয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তাদের মধ্যে এতই সিস্টেম লস যে টাকা ছাড়া কিছু বুঝে না। এটা সরকারের ব্যর্থতা। যে কোনো অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজ নেই। এই ঘটনার জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
নিহত ও আহতরা সবাই তল্লা চামারবাড়ি বাইতুস সালাত জামে মসজিদের আশেপাশের বাসিন্দা। আহত ও নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে পুরো তল্লা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘরে ঘরে বইছে শোকের মাতম আর কান্নার রোল। কে কাকে সান্তনা দেবেন সেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। স্বাধীনতার পর একসঙ্গে এতো মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম দেখলো তল্লাবাসী। লাশের ভারে রীতিমত স্তব্দ তল্লা যার প্রভাব পুরো নারায়ণগঞ্জে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, সবাই ৭০, ৮০ ও ৯০ পার্সেন্টের ওপর বার্ন। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নয়। তাদের অবস্থা অনেক খারাপ বলে মনে করছি। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছে রোগীদের সর্বাত্মক চিকিৎসা দেয়ার জন্য।
শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিমতল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।