সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে হোসিয়ারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে এক রিক্সাচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা এবং আদালতে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৫ আগস্ট রাত ৮টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় সর্দার বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়।
মামলার এজাহারে দাবি করা হয়- বন্দরের সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত পরিবার সহ ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে রিক্সাচালক ৫ সন্তানের জনক আমিরুল ইসলাম (৩৮)। সে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার ভোলাডাঙা গ্রামের মৃত জবেদ আলীর পুত্র।
তার ১ম স্ত্রী সবিরুন নেছা গ্রামের বাড়িতে থাকে এবং ২য় স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম শহরের সম্রাট গার্মেন্টসে চাকরি করে। প্রায় ২ মাস আগে একই বাড়ীতে ভাড়াটিয়া বাসায় ২ মেয়ে নিয়ে বসবাস শুরু করেন মেয়েটির মা। প্রায় ১ মাস আগে অসুস্থ হয়ে ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি হন ভিকটিমের মা।
স্বামী না থাকায় দারিদ্রতার কারণে বড় মেয়ে (১৪) নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় অর্চনা মার্কেটের দোতলায় একটি গেঞ্জির হোসিয়ারীতে কাজ করে। ঘটনার দিন কাজ শেষে বাসায় ফিরে আসে ভিকটিম। রাত ৮টার দিকে সে তরকারি আনার জন্য পাশের ভাড়াটিয়া আমিরুলের ঘরে যায়।
এসময় একা ঘরে পেয়ে আমিরুল ইসলাম জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মেয়েটিকে ছেড়ে দেয় আমিরুল। বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘটনার ১২ দিন পরে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম হোসিয়ারী শ্রমিকের মা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, মামলার একমাত্র আসামী আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে ও ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।