সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
প্রকাশিত হলো কবি রহমান মুজিবের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ ‘বুকের বামে সোনারগাঁ’। সোনারগাঁয়ের ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঐতিহ্যের ছায়া অবলম্বনে তিনি রচনা করেছেন এ কাব্যগ্রন্থটি। এ গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় কবি’র জন্মস্থান সোনারগাঁয়ের প্রাচীন ঐতিহ্য ও জৌলুসকে নানা উপমায় তিনি তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর বর্তমান দৈন্য দশাও ফুটে উঠেছে তার পংক্তিমালায়।
৪টি পর্বে মোট ৪৮টি কবিতার সম্মিলন ঘটেছে এ গ্রন্থে। ৪টি পর্বকে তিনি পানামপর্ব, ব্রহ্মপুত্রপর্ব, খাসনগরপর্ব ও কারুপল্লীপর্ব নামে আখ্যায়িত করেছেন। প্রতিটি পর্বের নামানুসারে ১২টি করে কবিতা রচনা করেছে কবি রহমান মুজিব। গ্রন্থটির শুরু ও শেষে রয়েছে সোনারগাঁয়ের মানচিত্র যা পাঠককে সোনারগাঁ সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারনা দেবে বলে মনে করেন কবি।
সোনারগাঁয়ের নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পাঠকের কাছে তুলে ধরতে বিষয় ভিত্তিক এ কবিতার বইটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। সোনারগাঁয়ের সাহিত্যাঙ্গনে কাব্যগ্রন্থের বেলায় এটাই এ ধরনের প্রথম রচনা। শুধুমাত্র সোনারগাঁকে নিয়ে পুরো একটি কাব্যগ্রন্থ সোনারগাঁ তথা সারা দেশেই প্রথম। এবারের একুশের গ্রন্থ মেলায় বেহুলা বাংলা প্রকাশনী থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থটির মূল্য রাখা হয়েছে ২০০টাকা। আয়ুব আল- আমীনের করা চমৎকার প্রচ্ছদ এ গ্রন্থ সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলবে সাহিত্যপ্রেমীদেরকে ।
এর আগে কবি রহমান মুজিবের আরো তিনটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো রক্ত রুদ্রের তারুণ্য(২০১১), মৃত্তিকার জখম(২০১৫) ও কাল রাত্রের মানুষ(২০১৬)।
কবি রহমান মুজিব ১৯৬৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সোনারগাঁ উপজেলার ছায়া সুনিবিড় মল্লিকের পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা রাজা মিয়া ও মাতা জায়মুন নেছা দুজনেই এখন প্রয়াত। পেশাগত জীবনে তিনি একজন শিক্ষক। পাশাপাশি নিষ্ঠার সাথে সোনারগাঁ সাহিত্য নিকেতনের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। লোখালেখির স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৬ সালে পেয়েছেন রুদ্র ছায়া গুণীজন সাহিত্য সম্মাননা।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র স.ম নাফিস রহমান ও এক কণ্যা মুসফিকা রহমানের জনক। কাব্য রচনায় সহধর্মিনী নিলুফার ইয়াসমিনের অনুপ্রেরণা তার কবি জীবনকে করেছে স্বার্থক।