সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর নিজস্ব স্বকীয়তা হারাতে বসেছিলেন রশিদুর রহমান রশু। অবশেষে নিজের স্বকীয়তার অবস্থান জানানি দিয়েছেন রাজপথের এই নেতা। ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ৮নং ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকায় থানা যুবদলের আয়োজিত যুবদল নেতাদের তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেখা গেলো রশুকে। এই প্রথম মহানগর যুবদলের কোন আয়োজনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে নিজেকে ফিরিয়ে দেখালেন। যেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নেতাকর্মীদের সূত্রে, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন রশিদুর রহমান রশু। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের ভাগনে হওয়ার সুবাদে বিএনপির নেতাকর্মীরাও রশুকে ভাগনে বলেই সম্বোধন করেন। ডজন খানিক মামলার আসামি রশু। রাজনীতি করতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুর সময়ও পাশে থাকতে পারেননি। মামাদের আগেই বিএনপির রাজনীতিতে প্রবেশ করলেও বর্তমানে মামাদের কব্জায় বন্ধি হয়ে গেছেন তিনি। যে কারনে নিজস্ব স্বকীয়তা হারাতে বসেছিলেন বলে মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা।
জানাগেছে, ২০০০ সালের বছর কয়েক আগে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন তৈমূর আলম খন্দকার। তারপর পরবর্তীতে বাম দলের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি ছেড়ে বিএনপির রাজনীতিতে আসেন খোরশেদ। কিন্তু তাদের দুজনের আগেই ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে প্রভাবশালী হয়ে ওঠেছিলেন রশিদুর রহমান রশু। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ট্যালেন্টপূলে বৃত্তি পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থী রশু নারায়ণগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের নেতৃত্বেও ছিলেন। ছিলেন তৎকালীন শহর ছাত্রদলের রাজনীতিতে। তখনকার শহর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন রশু।
২০০৮সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজপথে নেমে আন্দোলন করেন রশু। দীর্ঘদিন সক্রিয় ভুমিকা রাখার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পান। কিন্তু কমিটি গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা হয়ে ওঠেনি তার।
পরবর্তীতে তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হোন। কিন্তু এই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর একটি কমিটির নেতার চেয়েও শক্তি সামর্থ হারিয়েছিলেন রশু। কারন এই কমিটির সভাপতি তার আপন মামা মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ফলে মামার সকল মতামত সিদ্ধান্ত রশুর কাছে সর্বেসর্বা। খোরশেদের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়ার তার কোন সুুযোগ নেই।
ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক থাকাকালীন সময়েতার যে দাপট ও প্রভাব ছিল তার কানাকড়িও মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে তিনি দেখাতে পারেননি। তার নিজস্ব স্বকীয়তা মামাদের কাছে তিনি বিকিয়ে দিয়ে তার রাজনৈতিক ভবিষৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন বলে মনে করছেন রশুর অনুগামী নেতাকর্মীরা। অবশেষে স্বমহিমায় ফিরেছেন রশিদুর রহমান রশু।