সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহবুব রহমান জানান, রবিবার চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। যার মধ্যে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টার, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ টুটুল ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে নির্বাচনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার দাউদপুর ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় সমস্যা ভূমিদস্যূতা ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে আদর্শ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার নির্বাচনে তিনি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন পুরোদমে। প্রায় কয়েক বছর ধরেই তিনি ইউনিয়নবাসীর সুখে দুঃখে গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় একজন ক্লিন ইমেজের আইনজীবী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার বিএনপির রাজনীতিতেও রয়েছে তার ক্লিন ইমেজ। মিষ্টভাষী সদা হাস্যোজ্জল এই বিএনপি নেতা জনগণের সেবার ভ্রত নিয়ে বিএনপির কঠিন সময়েও ধানের শীষ প্রতীকের ঝান্ডা তুলে ধরতে যাচ্ছেন। যে কারনে এবারের নির্বাচনে তার হাতেই ধানের শীষ প্রতীকের ঝান্ডা তুলে দিতে যাচ্ছে বিএনপি। একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে জয়ের আশা নিয়েই নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন হেলাল উদ্দীন সরকার।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- এসব কারনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুনের সুদৃষ্টিও রয়েছে হেলাল উদ্দীন সরকারের প্রতি।
এ ছাড়াও রূপগঞ্জের সন্তান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদের সুদৃষ্টিও এই নেতার দিকে। যে কারনে দাউদপুর ইউনিয়নে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে হেলাল উদ্দীন সরকারকে মনোনয়ন দেয়া হলে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী হবে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। সেই জয়ের বিষয়েও নেতাকর্মীরা আশাবাদী।
নির্বাচনের বিষয়ে অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার বলেন, আমি বিএনপির একজন কর্মী। দলের কাছে মনোনয়ন চাই। দলের সিদ্ধান্ত মেনেই আছি এবং থাকবো। দলের সকল সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দলের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন চাইবো এবং আশা করি দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে। কারন আমি দীর্ঘ ১০বছর ধরে ইউনিয়নবাসীর পাশে আছি। আমাকে দল মনোনয়ন দিলে ধানের শীষ প্রতীকের সম্মান করবো এবং জয়ের জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি নির্বাচনে করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি দাউদপুর ইউনিয়নকে আদর্শ ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ভূমিদস্যূতা ও মাদক। আমি চেয়ারম্যান হলে গরীব অসহায় মানুষের জমি দখলবাজি করতে দিব না। কোন ভূমিদস্যূকে ছাড় দিব না। মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোন আপোষ করবো না।
অন্যদিকে জানাগেছে, আগামী ২০অক্টোবর রূপগঞ্জের দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্টিত হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর রবিবার নির্বাচন কমিশন এর তফসিল ঘোষণা করে। নির্বাচনে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার। মনোনয়ণ পত্র বাছাই ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩অক্টোবর শনিবার। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ৪অক্টোবর। ভোট গ্রহণ ২০অক্টোবর মঙ্গলবার।
এখানে আরও জানাগেছে, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৪ সালে। ওই নির্বাচনে নুরুল ইসলাম বিজয়ী হন। এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন বিএনপি নেতা শরীফ আহমেদ টুটুল। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার।