সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম সন্ত্রাসী রাজুর নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী হামলায় ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের বাহিনীর আরেক সন্ত্রাসী সহযোগী ইন্দ্রজিৎ সাহা আহত হয়েছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় এ হামলার শিকার হন তিনি। সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম ইন্দ্রজিৎ সাহাকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেছে।
আহত ইন্দ্রজিৎ সাহা অভিযোগ করেন, আমি আমার বন্ধু নারাযণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের অফিস থেকে আমিন আবাসিক আমার নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় আচমকা সন্ত্রাসী রাজুর নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একটি কিশোর বাহিনী আমার উপর হামলা করে। এ সময় কেউ কেউ বলতে থাকে আমার নেতার বাড়িতে হামলা করার মজা বুঝাচ্ছি। তারপরই অন্ধকার থেকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হকিস্টিক দিয়ে বেধরক পিটাতে থাকে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খান মাসুদের পালিত সন্ত্রাসী পাতলা রাজুর নেতৃত্বেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার উপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, খান মাসুদের সাথে আমার যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল সেটা আমার নেতা প্রাণপ্রিয় এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান এমপির নির্দেশে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের অভিভাবক বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ভাই নিরসন করে দিয়েছেন। এর পরে খান মাসুদের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ ছিল না।
কিন্তু হটাৎ করে পূর্বের শত্রুতা মনে পোষণ করে ঘৃন্য মনোভাব নিয়ে খান মাসুদের লোকজন এমপির নির্দেশকেও অমান্য করে আমার এক নিরীহ বন্ধুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করলো। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। আমি জনপ্রতিনিধি। জনগণের দোড়গোড়ায় গিয়ে তাদের কষ্ট নিরসন করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিৎ করাই আমার কাজ। অথচ
আজকেও আমার লোকজনই নিরাপত্তা পাচ্ছেনা। এ কষ্ট কোথায় রাখব? আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতার্দের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, দুজনকে মিলিয়ে দিয়েছি। পুণরায় এমন হামলা সত্যিকার অর্থেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার সামিল। সমঝোতার পর পুণরায় এমন হামলা দুঃখজনক। অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরুপ ২/১ জনের জন্য দলে বদনাম হবে তা চলবে না। কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, এমন কোন ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।