সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ২৮৭ জনের কমিটি। নতুন করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন এখানকার বিএনপির আইনজীবী নেতারা। লম্বা এই কমিটি গঠনের পর থেকেই বিরোধ সৃষ্টি হয় বিএনপির আইনজীবীদের মাঝে। হয় পাল্টা কমিটিও। ফলে লম্বা এই কমিটির কার্যক্রমই ছিল স্থবির। এবার নতুন করে সকল বলয়ের নেতারা কমিটি গঠনের চেষ্টা করছেন বলেও জানাগেছে। যেখানে স্থান করে নিতে যাচ্ছেন তরুণ আইনজীবী নেতারা। থাকতে চাচ্ছেন না সিনিয়র আইনজীবী নেতারা।
জানাগেছে, প্রায় দেড় বছর আগে জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন এককভাবে নারায়ণগঞ্জের কমিটি ঘোষণা করেন। যেখানে শুধুমাত্র অগ্রাধিকার পায় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুগামী আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর দিনই কমিটি বাতিলের দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। কমিটি গঠনের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিটিতে প্রত্যাখান করেন আইনজীবীদের একটি অংশ। এমনকি ১৪৪ জন পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন।
কমিটিতে রাখা উপদেষ্টা পদ থেকে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও পদত্যাগ করেন। এ কমিটি বাতিল না হওয়ার কারনে কয়েক দিনের মাথায় অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়াকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সেক্রেটারি করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন অপর পক্ষের আইনজীবীরা। মুলত তারা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২৮৭ জনের কমিটিতে অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লাকে সেক্রেটারি বিশাল এক কমিটি ঘোষণা করেন মাহবুব উদ্দীন খোকন।
এমন পরিস্থিতিতে এ লম্বা কমিটি কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেননি। যে কারনে আইনজীবী ফোরামের নেতারা এবার একত্রিত হয়ে নতুন করে কমিটি গঠনের আলোচনায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে নিজেদের মধ্যে সভাও করেছেন। নিয়মিত করছেন আলোচনা। সিনিয়র আইনজীবী নেতারা চাচ্ছেন নিজেরা নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়ে নতুন আইনজীবী নেতাদের হাতে নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে। এতে অনেক তরুণ আইনজীবী নেতা সাহস পাচ্ছেন না নেতৃত্বে আসতে। আবার দুএকজন সিনিয়র নেতাও শীর্ষ পদে থাকতে চাচ্ছেন। এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে আলোচনা চললেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।
জানাগেছে, এবার নতুন আইনজীবী নেতাদের মধ্যে ফোরামের পদে আসার আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা ও অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন। তবে শীর্ষ পদে থাকবেন কি থাকবেন না এ নিয়ে দোটানায় রয়েছেন সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা। আবার সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানী ভুইয়া। তবে কমিটিতে সংমিশ্রন থাকলে আজিজুর রহমান মোল্লা কিংবা আজিজ আল মামুনকে দেখা যেতে পারে সেক্রেটারি পদে এবং সভাপতি পদে কোন সিনিয়র নেতাই আসতে পারেন। তবে এসব নিয়ে নানা আলোচনা চললেও এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তবে এবার দীর্ঘ কমিটি গঠনের কোন পরিকল্পনা করছেন না তারা। এখন দেখার বিষয় এই আলোচনা তারা কতটুকু ঐক্যবদ্ধভাবে শেষ করতে পারেন। নাকি আগের মতই আবারও দেখা দিবে আইনজীবী ফোরামের নেতারা বিরোধ।