সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আলোচিত সেই পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বখাটেদের উৎপাত চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের রুখবার যেনো কেউ নেই। আলোচিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কিন্তু প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ নেই। এতে অভিভাবকেরা হয়েছেন আরও উদ্বিগ্ন।
জানাগেছে, বন্দর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকের পাশে বখাটেদের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রীদের একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা বিদ্যালয়ের আশেপাশে ও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ও মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লীল ভাষায় কথা বলা ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেম প্রস্তাব, প্রকাশ্যে ছাত্রীদের হাত ধরে টানাসহ নানাভাবে ইভটিজিং করায় এলাকার অনেক ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। এসব ঘটনায় মেয়েদের নিয়ে পিতা-মাতাসহ পরিবারের লোকজন তাদের নিয়ে আতংকিত হয়ে পড়েছে।
আরও জানা যায়, বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, নাসিম মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, কদম রসুল কলেজসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আসার সময় একশ্রেণির বখাটে কিশোর ও যুবকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেউবা মোটরসাইকেলে আরোহী হয়ে ছাত্রীদের নানা অঙ্গভঙ্গিতে ইভটিজিং, প্রেম প্রস্তাব করাসহ নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বখাটেদের ভয়ে অনেক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা ওইসব বখাটে যুবকদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা। পুলিশ মাঝে মধ্যে বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তাদের দৌড়াত্ম থামছেনা। ফলে ইভটিজার ও বখাটেদের উপদ্রব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক অভিভাবক জানায়, গত শনিবার দুপুর দেড় টায় সিকদার আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষে ৩/৪ জন ছাত্রী শাহীমসজিদ মোড়ে একটি অটো রিক্সা উঠার সময় কয়েকজন বখাটে যুবক ছাত্রীদের প্রকাশ্যে অশ্লীল কথা বার্তার মত ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা বখাটে কর্তৃক মেয়ে সন্তানদের সঠিকভাবে শিক্ষাদানে চরম ব্যাহত হচ্ছেন। তারা ইভটিজারদের শায়েস্তা করতে বন্দর থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।