সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে তিন দিনের মধ্যে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসায়ী ছেড়ে দিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন সোনারগাঁয়ে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। নতুবা এর পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলেও তিনি জানান। সোনারগাঁও পৌর এলাকায় কোন মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী থাকবে না বলেও কঠোর হুশিয়ারি দেন এই এমপি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কিন্তু এর আগে যারা জনপ্রতিনিধি ছিলেন মাদকের বিরুদ্ধে তাদের ভুমিকা ছিল রহস্যজনক। অতীতে ও বর্তমানের অনেক নেতাদের সাঙ্গপাঙ্গরাই মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জানাগেছে, ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও পৌর খাঁন বাজার এলাকায় পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্ট স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘ ১৮.৭৫ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে এমপি খোকা তার কঠোর অবস্থানের বিষয়টি আবারো জানান দিলেন।
তিনি আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যত জমিদারের ছেলে হোক যত বড় রাজনীতিবিদের ছেলেই হোক না কেন মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নেই। যারা এখনো মাদকের সাথে জড়িত তারা ভাল হয়ে যাও। আমি র্যাব, পুলিশসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা বলেছি ২/১ দিনের মধ্যে তাদের সাথে বৈঠক করবো। তাই বলছি তোমরা ভাল হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমি আশা করি আগামীকাল থেকে মাদকের জন্য কোন ছেলের মা যেন বলতে না পারে মাদকের জন্য আমার ছেলের সবকিছু শেষ হয়ে গেলো কোন বাবা যেত বলতে না পারে মাদকের জন্য আমার জীবনের সকল পরিশ্রম ব্যর্থ হয়ে গেল। তাই মাদক থেকে আমার সন্তানকে রক্ষা করতে আমি পৌরসভার প্রত্যেকটা মা-বাবার সাথে আছি। প্রয়োজনে হলে আমি পৌরবাসীকে একত্রিত করে লাঠি হাতে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবো যেখানে মাদক ব্যবসায়ী পারো সেথানে পিটিয়ে পুলিশে সোর্পদ করবো। মাদক ব্যবসায়ী যত ক্ষমতাশীন হওক না কেন পৌরসভায় ঠাই হবে না। আমি জানি পৌরসভায় কারা মাদকের ব্যবসা করে আমি সবার সামনে তাদের নাম বলবো না। আগামী তিনদিন পরে আমি পৌরসভার প্রতিটি স্থানে ফেস্টুন ব্যানার লাগিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ছবি টানিয়ে দিবো। যাতে সমাজের মানুষ তাদের দেখে ঘৃনা করে থুথু ফেলে। মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজে যাতে মুখ দেখাতে না পারে তার জন্য যা যা করা দরকার তাই করবো।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথা তুলে ধরে বলেন, আমার মাতৃতুল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী তোমার পরিবারের হোক তাদের ছাড় দিবা না। আমি পৌরসভার একজন অভিভাবক হিসেবে বলবো কাল থেকে মাদক সেবন ও বিক্রি বন্ধ করো। নয়তো রেহাই নেই।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মো. ফারুক হোসেন, সোনারগাঁও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ডালিয়া লিয়াকত, সোনারগাঁও পৌর জাতীয় পার্টির আহবায়ক এম এ জামান, সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম শফি, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রব, সোনারগাঁও পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর জাহেদা আক্তার মনি, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাপা নেতা শাহ মো. হানিফ।
এসময় সোনারগাঁও পৌরসভার কাউন্সিলর, সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।