সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোডে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১১ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গেস্খপ্তার করেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ীর পেট এক্স-রে করে পেটের ভেতর ইয়াবা শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তার পেটের ভেতর থেকে ৯৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব। ১০ অক্টোবর শনিবার বিকেলে র্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৯ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে একটায় র্যাব-১১, সিপিএসসি’র মাদক বিরোধী অভিযানে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা হতে মোঃ জাহাঙ্গীর হাসান নামক এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে মোঃ জাহাঙ্গীর হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে তার পেটের ভিতর হতে ৯৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর ইয়াবা ঢুকিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে ঢাকায় এসে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দিয়ে আসছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী নওগাঁ জেলার নওগাঁ সদর থানাধীন রজাকপুর গ্রামের মোঃ আতোয়ার রহমানের ছেলে।
র্যাব আরও জানায়, নওগাঁর একজন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ অক্টোবর উক্ত ইয়াবা পাচারকারী একই কৌশলে চট্টগ্রাম হতে বাসযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল রাত সোয়া ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাশীকালে চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস থেকে সন্দিগ্ধ হিসেবে মোঃ জাহাঙ্গীর হাসানকে আটক করা হয়।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর হাসানের কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে। অতঃপর গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তার পেটের ভিতর ইয়াবা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের সদর থানাধীন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে নিয়ে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভিতর অসংখ্য ডিম্বাকৃতির বস্তু বিশেষ রয়েছে। পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর হাসান স্বীকার করে যে তার পেটের ভিতর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ২০টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ৪৭ পিস করে মোট ৯৪০পিস ইয়াবা রয়েছে।
আসামি স্বীকার করে যে, চট্টগ্রামে এই ইয়াবার পোটলাগুলো সে খাবারের সাথে গিলে খায় এবং পরবর্তীতে কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে। অতঃপর তাকে কলা এবং পাউরুটি খাওয়ানোর পর হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে তার পায়ু পথ দিয়ে লাল টেপ মোড়ানো ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির ২০টি পোটলা বের করে দেয়।
উক্ত পোটলাগুলো হতে প্রত্যেকটিতে ৪৭ পিস করে মোট ৯৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অভিনব কৌশলে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।