সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ইসলামী ছাত্রসেনা নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি রাহাত হাসান রাব্বীর সভাপতিত্বে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে দেশব্যাপী কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের দ্বারা বলৎকার ও প্রতিবাদ সমাবেশ ১৬ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম্মা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের পূর্বে নারায়ণগঞ্জ নগর ভবন সংলগ্ন বাইতুল ইজ্জত জামে মসজিদ হইতে নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ শহর প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বক্তব্যের মাধ্যমে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শেষ হয়।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি কার্যকর করায় ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী’র পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু শুধুমাত্র ধর্ষণের সাজা দিলে চলবেনা, আজ কুরআন হাদীস পড়ানোর নামে জায়গায় জায়গায় কওমি মাদ্রাসা করে যেভাবে মাসুম শিশুদের, ছাত্রদেরকে বলৎকার করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।’
তারা আরও অভিযোগ করেন- নারায়ণগঞ্জে এক মৌলভী জামাতের অন্যতম এজেন্ট এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছে, কওমি মাদ্রাসায় নাকি বলৎকার হয়না অথচ নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ তার উপজেলায় গত কিছুদিনের মধ্যে ২টি বলৎকার এর ঘটনা ঘটেছে। ফতুল্লা থানায় ১১-১২ ছাত্রীকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পাই গত বছরে যত ধর্ষণ ও বলাৎকার হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের দ্বারা হয়েছে। অথচ জামাতের এজেন্ট মুনাফেক আব্বাসি কওমি মাদ্রাসার বলৎকার ও ধর্ষণের চিত্র দেখেনা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী থাকবে অচিরেই এই বলৎকার কারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। এছাড়া আশংকাজনক হাড়ে কিশোর গ্যাং এর উত্থান হয়েছে আমাদের দেশে এবং নারায়ণগঞ্জে অলিতে গলিতে কিশোর গ্যাং যারা সরকার দলীয় নেতাদের ছায়ায় বা আশ্রয়ে প্রত্যেক এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে। ”
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ছাত্রসেনা নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা হাসান মুরাদ, ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমন হাসান সুমন, মোঃ সেলিম, মোঃ সোহেল, মোঃ মাঈনুদ্দিন, মোঃ নুরুদ্দিন প্রমুখ।