সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির বেশির ভাগ নির্বাচনে সংখ্যাঘরিষ্ঠতা পেতো বিএনপি। শীর্ষ পদেও কখনও সভাপতি বা সেক্রেটারি পদে কিংবা কখনও শীর্ষ দুটি পদই হারাতো আওয়ামীলীগ। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগের ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আদালতপাড়ার রাজনীতিতে ঝান্ডা তুলে নেন অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। পরবর্তীতে আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীদের জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী বেনাভোলেন্ড ফান্ড তৈরি করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। আজকে সেই ফান্ড নিয়ে সকল আইনজীবীরাই জুয়েলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আদালতপাড়ায় শক্ত অবস্থানে ওসমান পরিবারের রাজনীতি।
আদালতপাড়ার রাজনীতির কঠিন পরিস্থিতিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সদা হাস্যোজ্জল মিষ্টভাষী প্রসিদ্ধ আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দুইবারের নির্বাচিত সভাপতি। তবে আইনজীবী সমাজে তার জনপ্রিয়তা অটুট রয়েছে এখনও। কারন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে ডিজিটালের ছোয়া লাগিয়েছেন সর্বপ্রথম হাসান ফেরদৌস জুয়েলই। যে কারনে আইনজীবীরা বলছেন ডিজিটাল বারের রূপকার তিনি। পুরাতন বার ভবনে তিনিই ওয়াইফাই জোন করে ডিজিটালাইজেশনের ছোয়া দিয়েছিলেন সর্বপ্রথম।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, টানা দুইবার বারের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আইনজীবী সমিতির ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। মুলত আজকের ডিজিটাল বার ভবনের কাজ হাসান ফেরদৌস জুয়েলের হাতেই অগ্রগতি শুরু হয়। এর আগেও দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সমিতিতে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আইনজীবী সমাজে ডায়নামিক আইনজীবী নেতা হিসেবে পরিচিত হাসান ফেরদৌস জুয়েল।
আইনজীবী সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করায় নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের দুই কর্ণধার এমপি একেএম সেলিম ওসমান ও এমপি একেএম শামীম ওসমানের সুদৃষ্টিতে রয়েছেন তিনি। কারন আইনজীবী সমিতির রাজনীতিতে শুরু থেকেই ওসমান পরিবারের বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন জুয়েল। এ কারনেও ওসমান পরিবারের দুই কর্ণধারের সুদৃষ্টি তার দিকে পড়ে যায়।
আইনজীবীরা আরও বলছেন, আইনজীবী সমিতিকে ডিজিটাইলেশন থেকে শুরু করে সমিতির যাবতীয় কার্যক্রমে হাসান ফেরদৌস জুয়েল এনেছেন ভিন্নতা। প্রতিটি কাজে এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোয়া। হাসান ফেরদৌস জুয়েল টানা দুইবার বার সভাপতি ও এর আগে সেক্রেটারি সহ একাধিকবার বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করলেও কোন বার্ষিক সাধারণ সভায় তার নীতি নৈতিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি।
আইনজীবীদের একটি টাকারও হিসেবে হাসান ফেরদৌস জুয়েল কড়ায় গন্ডায় হিসেবে রাখতেন। সমিতির বিভিন্ন ফান্ডের একটি পয়সা পর্যন্ত হিসেব রাখতেন। যে কারনে আদালতপাড়ার রাজনীতিতে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধি পক্ষ থাকলেও তার সততা নীতি নিয়ে একটি প্রশ্নও কোনদিন তুলতে পারেননি তার বিরোধীতাকারীরাও। তিনি এমনভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করেন যার নিয়ম কানুন সকলের জন্য সমান।
এ ছাড়াও আইনজীবীরা বলছেন- আইনজীবী নেতা হিসেবে হাসান ফেরদৌস জুয়েল নেতৃত্বে আসতে এবং নেতৃত্বে আসার পর সমিতির কল্যাণমুলক কর্মকান্ডে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন রাজনৈতিক কারনে। কিন্তু সেই বাধা অতিক্রম করে আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে সমিতির নেতৃত্বে না থাকলেও সমিতির বর্তমান কার্যকরী পরিষদের পেছনে ছায়া হয়ে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। বর্তমান সভাপতি ও সেক্রেটারি যেকোন বিষয়ে তাকে পাশে পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সোহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্কের কারনে সমিতির উন্নয়নগতি অব্যাহত রয়েছে আরো এগিয়ে।
আইনজীবীরা বলছেন- আইনজীবী সমিতির পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলার সময় অনেক সিনিয়র আইনজীবী নেতা বিরোধীতা করেছিলেন। বিরোধী দলের কিছু নেতাও সেই ভবন ভাঙ্গতে দেননি। কেউ কেউ বলেছিলেন রক্ত দিয়ে হলেও পুুরাতন ভবনটি ভাঙ্গতে দিবেন না। কেউ কেউ বলতেন জুয়েলের হাতে সেলিম ওসমান ডিজিটাল ভবন নির্মাণের অর্থ তুলে দিবেন না। নতুন ভবনটি হবেনা। বাধা বিপত্তির পরেও ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। ভবনটি ভাঙ্গার পর আইনজীবীদের সাময়িক অসুবিধাটি নিয়ে অনেকেই রাজনীতি করেছিলেন। কেউ কেউ বলেছিলেন আইনজীবীদের রোহিঙ্গা বানিয়ে দিয়েছেন জুয়েল ও বর্তমান সভাপতি মোহসীন। এসব কাজে যারা এক সময় বিরোধীতা করেছিলেন আজকে ভবনটি নির্মাণ করে সফলতা পাওয়ায় তারাও প্রশংসা করছেন।
পেছনে ফিরে আইনজীবীরা বলছেন- আজকে বেনাভোলেন্ড ফান্ডের বিষয়টিও ব্যাপক প্রশংসিত। এই ফান্ড তৈরি করতে গিয়ে অনেক বাধায় পড়েছিলেন হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাসান ফেরদৌস জুয়েলের হাত থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়েছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। আইনজীবীদের সমর্থন নিয়ে সেই ফান্ড তিনি তৈরি করেছেন। আজকে আইনজীবী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ফান্ডের আওতাভুক্ত হতে সবাই আগ্রহী। সমিতির ডাইরেক্টরী, সমিতির হিসেব, সমিতির ওয়েবসাইট, আইনজীবীদের ডিজিটাল আইডি কার্ড সহ প্রযুক্তি নির্ভর কাজগুলো তিনি করেছেন।