সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ছগীর আহাম্মেদ নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন নিয়মিত। অন্যদিকে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার সহধর্মিনী ডালিয়া লিয়াকতকেও প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নির্বাচনকে সামনে রেখে এমপি খোকার ঘনিষ্ঠ কর্মী উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলুল হক মাস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছগীর আহাম্মেদকে ইঙ্গিত করে একটি পোস্ট করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এ ঘটনায় পৌরবাসীর মাঝে নিন্দার ঝড় ওঠেছে। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা বলছেন- রাজনীতিতে শিষ্টাচার থাকা উচিত। জাতীয়পার্টির একজন কর্মী হয়ে ছগীর আহাম্মেদের মত একজন নেতাকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করা সমচিন নয়। যা লেখা হয়েছে তার সঙ্গে ছগীর আহাম্মেদের রাজনীতিতে কোন মিল নাই। ভোট নেই সেই ভয়ে মিথ্যা বানোয়াট প্রচারণা শুরু করেছে তারা।
ছগীর আহাম্মেদের নেতাকর্মীরা বলছেন- মুলত জাতীয়পার্টির জন্য পৌরসভা নির্বাচনে ছগীর আহাম্মেদ মাথা ব্যথ্যার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ছগীরকে ধমাতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট প্রপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীরা। কারন ছগীর আহাম্মেদ পৌরসভা নির্বাচনে শক্ত প্রার্থী।
জানাগেছে, ১৮ অক্টোবর রবিবার সকালে ফজলুল হক মনি নামক ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। ওই আইডি থেকে লেখা হয় যে, ভাবতে অবাক লাগে একজন ডাকাত, নামকরা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ঢাকা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছে, সে নাকি সোনারগাঁও পৌরসভায় মেয়র হতে চান! যার হাতে ঢাকা কলেজ সংলগ্ন এলাকার সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নাই তিনি কি করে পৌরবাসীর নিরাপত্তা দিবেন। তিনি মেয়র হলে পৌরসভার সকল সম্পদ লুটপাট করবে, পৌরবাসীর উন্নয়ন হবে না, ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাদাবাজী বেড়ে যাবে।’
ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, জাতীয়পার্টির রাজনীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। ওই ঘটনায় মৌসুমীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন এই ফজলুল হক মনি যিনি উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে ডালিয়া লিয়াকতকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে সবার আগে ফেসবুকে প্রচারণা শুরু করেন ফজলুল হক মাস্টার। তিনি এমপি খোকার ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত। যে কারনে কেউ কেউ মনে করছেন কারো ইন্ধনেই ফজলুল হক মাস্টার ছগীরকে নিয়ে এমন পোস্ট করেছেন।
অন্যদিকে রবিবার বিকেলে ফেসবুকে ‘স্বপ্ন সোনারগাঁও’ আইডি থেকে ছগীর আহাম্মেদ ও ফজলুল হক মাস্টারের আইডি সহ পোস্ট করে একটি প্রতিবাদী লেখা লেখা হয়েছে। এই আইডিতে লেখা হয়- ছগীর আহাম্মেদ যখন ঢাকা কলেজের ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় তখন থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধুত্বের খাতিরে ওকে কাছ থেকেই দেখছি। তার দক্ষতা, বিচক্ষণতা ও শিষ্টাচারের কারনেই ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। বর্তমানে সে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছে এবং ইতোমধ্যে পৌরসভাবাসীর অনেকটাই মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। নিঃসন্দেহে অন্য সব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তুলনায় নৌকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে আছে ছগীর আহাম্মেদ। আর এতে ইর্ষানীত হয়ে নানান অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে একটি কুচক্রী মহল। তারই একটি নমুনা ছিল ফজলুল হক মনি নামে আইডি থেকে দেয়া এই স্টেটাস। সোনারগাঁয়ের অজনপ্রিয় কোন দলের অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বে থাকা এই ব্যক্তির লেখার মধ্যে ছিলনা কোন শিষ্টাচার। শিষ্টাচার বহির্ভূত এই লিখার জন্য এই লোকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করা উচিত নিঃসন্দেহে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমালোচনা করা যেতেই পারে তবে এই টাইপের শিষ্টাচার বহির্ভূত লিখনির মাধ্যমে নয়। যতোটুকু জানা গেছে ফজলুল হক মনি যে দলের সমর্থক সারা সোনারগাঁ ব্যাপী ঐ দলটির জনপ্রিয়তা একেবারেই তলানিতে। কোন উপায় না দেখে অন্য দলের লোকজন ভাড়া করে নিজেদের জনপ্রিয়তা প্রকাশের অপচেষ্টায় লিপ্ত দলটির নেতারা।’