সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র পদে দশটি বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সাদেকুর রহমান ভুঁইয়া। দশটি বছরে দশটি দিনও সোনারগাঁয়ের সমস্যাগুলো পরিদর্শনে যাননি মেয়র সাদেকুর রহমান। রাস্তাঘাটের চলসই উন্নয়নেও তিনি হাত দিতে পারেননি। বয়সের ভারে সারাবছর ছিলেন শারীরিকভাবে অসুুস্থ্য। যে কারনে পৌরবাসীর অনেকেই বলেছেন- সোনারগাঁও পৌরসভা গত দশটি বছর চলেছে মেয়রের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই। এদিকে জানাগেছে, জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির দশটি মিটিংয়েও তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। জেলা প্রশাসনের অন্যান্য সভাতেও সাদেকুর রহমানের কোন অংশগ্রহণ ছিল না।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পৌরসভার বেশির ভাগ এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। যে কটি রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার হয়েছে তাও নামকাওয়াস্তে। বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো প্রয়োজনের তুলনায় চওড়া কম। একটি গাড়ি যেতে গেলে আরেকটি গাড়ি থামিয়ে যেতে হয়। কাজের মান নিয়েও বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠেছিল।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না করায় ২৫ গ্রামবাসীর চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌরসভার দুলালপুর বাজার থেকে ফতেকান্দী বাড়িগন্দ্রব- প্রেমেরবাজার হয়ে সনমান্দি পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে আছে। ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ২৫ গ্রামের মানুষ।
এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি। দুলালপুর সনমান্দির সড়কটি বর্ষার পানিতে দুই পাশের মাটি নরম থাকায় ভারী যানবাহন যেমন- কাভার্ডভ্যান, ট্রাক, অটো রিকশা ও সিএনজিচালিত অটো রিকশা চালাচলের কারণে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে ছোট বড় অনেক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তাটি এখন একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী আরও বলেন, দুলালপুর বাজার থেকে সনমান্দি পর্যন্ত রাস্তাটিতে চলাচলের সময় প্রায়ই গাড়ি উল্টে যাত্রীরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন গর্ভবতী নারী ও রোগীরা।
তবে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহম্মেদ মিডিয়াতে দাবি করেছেন এই সড়কের টেন্ডার পাস হয়েছে। সড়কটি খুব দ্রুত মেরামত করা হবে।
কিন্তু এতদিনেও কেন এই সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হলো না তার দায়ভার পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানের বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।