আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:
অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে ঠকছেন ক্রেতা সাধারণ। ফেসবুক ও ইউটিউবে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সহজ সরল ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেই পণ্য বিক্রয় করছেন প্রতারক চক্র। কিন্তু ফেসবুকে লাইভে পণ্যের মান ও গুণাগুণ যা দেখানো হচ্ছে তা পণ্য ডেলিভারির পর তার কিছুই পাওয়া যাচ্ছেনা। কিছ পণ্য বিক্রেতারা সঠিক পণ্য সরবরাহ করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরেও বিষয়টি আসছে না। অনলাইনে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেই সব পণ্য যখন ক্রয় করা হয় তখন দেখা যায় হাজার টাকার পণ্য একশত টাকার মুল্যের। আবার পণ্য ফেরত দেয়া হলেও সঠিক পণ্যটি সরবরাহ করছে না। পরে যোগাযোগ করা হলেও ক্রেতাদের সঙ্গে করছেন অশোভন আচরণ। এমন সব প্রতারক চক্র এখন পণ্য বিক্রয়ের নামে ফেসবুকে সক্রিয়। আবার প্রথমে সঠিক পণ্য ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করে ফাঁদ তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে পণ্য ক্রয় করা হলে দেওয়া হয় মানহীন পণ্য।
অনেকেই বলছেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে প্রতারণার বড় ধরনের ফাঁদ হল অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয়। দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ সুযোগে একটি প্রতারক চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ মানুষ পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ শোনা যায়।
তাছাড়া অনলাইন শপিং করতে এখন সকলেই কমবেশি ভালোবাসেন। সময় স্বল্পতার কারনে অনেকেই অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ প্রতারণা করা হয় জামা কাপড়ের বেলায়। প্রতিনিয়তই লাফিয়ে বাড়ছে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা। ঘরে বসে ফেসবুকে ছবি ও লাইভে পণ্যের ছবি দেখে মনের মত জিনিস অর্ডার (ফরমায়েশ) করবেন মানুষ, আর তা বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। ডিজিটাল কেনাকাটা যত বাড়ছে, ততই অনলাইনে জালিয়াতির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। হ্যাকিং উত্তরোত্তর বাড়ছে।
এছাড়াও বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েরা ফেসবুকে পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা চালু করে ব্যবসা করছেন। আর এ ব্যবসা যতই প্রসার লাভ করছে ততই যেন প্রতারণা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঠিক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সক্রিয় হয়ে ওঠেছে প্রতারক চক্রও। তাদের প্রতারণার অন্যতম মাধ্যম হল চমকপ্রদ বিঞ্জাপন। দেখানো হয় যে পণ্যটি সেই পণ্যটি আর সরবরাহ করেনা। আর এসব বিঞ্জাপনে আকর্ষিত হয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। বিশেষ এসব প্রতারণায় বেশি শিকার হচ্ছে নারীরা। তাদের সহজ সরল বিশ্বাসকে কাজে লাগাচ্ছে প্রতারক চক্র। তাই এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সজাগ দৃষ্টি রাখা উচিত বলে মনে করছেন প্রতারণার শিকার ক্রেতারা।