সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কতুবপুরে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটায় ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড,পাইপ দিয়ে পিটিয়ে মিজানের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার পাইপ দিয়ে পিটানো হয়। মঙ্গলবার রাতে ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনার পর তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
২৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে মিজানের স্ত্রী সপ্না বেগম ৬জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। মিজান মাহমুদপুর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মিজানের ছোট ভাই আলীনুরের ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সন্ত্রাসী আনিছুর রহমান ভুলু, আব্দুর রহমান, জিএম আমিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম তাজু, মজিবুর রহমান, হান্নান মিয়া শান্ত সহ তাদের বাহিনীর ৫/৬ জনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে আলীনুরের ডিশ ব্যবসা দখলে ব্যর্থ হয়ে মিজানকে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মাহমুদপুর তাইজুদ্দিন মার্কেটের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে হাত পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়। এসময় মিজানের হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলা হয়। তাদের মারধরে নিথর হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে স্থানীয় লোকজন এসে মিজানকে উদ্ধার করে। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের একজন অফিসারকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।