সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনে নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবি তুলেছেন বিএনপির সিংহভাগ আইনজীবী। তাদের দাবি- দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে আগে নিজেদের মধ্যেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবি। কিন্তু বিএনপির গুটিকয়েক’জন আইনজীবী বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তারা নির্বাচনে ভোটে আসতে ভয় পাচ্ছেন, এ কারনে আদালতপাড়ায় তাদের এমন ভীতসন্ত্রস্ত দেখে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও সিনিয়র আইনজীবীরা। ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ৮ নভেম্বর রবিবার নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়া সংলগ্ন একটি চেম্বারে এক আলোচনা সভায় ফোরামের কমিটি গঠনের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নেতারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান নারায়ণগঞ্জে বিএনপির আইনজীবীদের ৫টি সংগঠনের বিষয়ে বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলনে কঠোর ভুমিকা রাখতে হলে আইনজীবীদের ৫টি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, যুব আইনজীবী ফোরাম, মহিলা আইনজীবী ফোরাম, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ ও আইন ছাত্র ফোরামকে শক্তিশালী সংগঠনে পরিনত করতে হবে। সবগুলো সংগঠনে গণতন্ত্র চালু করতে হবে। নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্র চালু করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনের বিষয়ে সাখাওয়াত বলেন, আপনারা জানেন ইতিপূর্বে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটি গঠনে আমরা নিরপেক্ষভাবে কমিটি গঠনের চেষ্টা করেছিলাম, তারপরেও আমাদের বিতর্ক ছাড়েনি। সুতরাং আমরা এবার বিতর্কে জড়াতে চাই না। বিতর্কে জড়িয়ে এই সংগঠনকে দূর্বল করতে চাইনা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সকল সদস্য যেখানে সামান্য কজন সদস্য বাদে, সকল সদস্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠন করবো। সেই ভোট হবে অন্তত স্বচ্ছ এবং সেটা হবে কেন্দ্রীয় আইনজীবী ফোরামের মাধ্যমে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। ভোটের মাধ্যমে সেখানে গায়ে জ্বালা ধরার কোন কারন নাই।
তিনি বলেন, অনেকেই চাচ্ছেন এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করার জন্য। আমরা বলতে চাই আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। আমরা তাই আশা করবো সকলেই গণতন্ত্রের পক্ষে থাকবেন। ভোটে যেই নির্বাচিত হবে আমরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিব। নির্বাচনে যে কেউ যে কোন পদে প্রার্থী হতে পারবেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কিছু পত্রিকায় নিজ দলীয় কিছু আইনজীবী মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করে সাখাওয়াত বলেন, আমরা ধরে নিলাম সরকার হুমায়ুন কবির ও আবুল কালাম আজাদ জাকির নেতৃত্বের যোগ্য নয়। যদি তাই হয় তাহলে নির্বাচনে আইনজীবীরাই তাদেরকে ভোট দিবে না। যারা অপপ্রচার করছেন তাহলে আপনাদের নির্বাচনে আসতে এত ভয় কেন? আপনারা এত যোগ্য হলে আপনারা নির্বাচনে আসেন, ভোটে আসেন। আইনজীবীরা ভোট দিয়ে আপনাদের যাকেই নির্বাচিত করলে আমরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিব।
সাখাওয়াত হোসেন খান সমিতির নির্বাচনের বিষয়ে উদাহরণ টেনে বলেন, আজকে আপনারা যারা বড় বড় কথা বলছেন আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তো আপনারা দাঁড়াতে চান না। সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করতে চান না। এমন কঠিন সময়ে সরকার হুমায়ুন কবির ও আজাদ জাকিররাই নির্বাচনে দাঁড়ায়। সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তারা নির্বাচন করেন। দলের স্বার্থে করেন।
এর আগে সভাপতি প্রার্থী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির তার বক্তব্যে বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচন। এটা নিজেদের ভেতরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন, এতে কোন হানাহানি নাই, মারামারি নাই, বদনাম নাই, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। কিন্তু একটি পক্ষ পত্রপত্রিকায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য প্রতিদিনই দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা সেদিকে যাবো না। আমরা চাই নিজেদের ভাইয়ে ভাইয়ে কোন দ্বন্ধ না হোক। আমরা কারো নামে বদনাম করতে চাইনা। আমরা মুখ খুললে অনেকের বিরুদ্ধেই অনেক সত্য তথ্য দিয়ে প্রচার করতে পারি। আমরা সেদিকে যাবো না। আমরা চাই আসুন যে সরকারের বিরুদ্ধে ঝান্ডা তুলে ধরতে পারবেন তার হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেই। আমাদের কোন লোভ লালসা নাই, ইচ্ছাও নাই যদি আইনজীবীরা আমাদেরকে নেতৃত্বে দেখতে না চান। আমরা আপনাদের পেছনেই থাকতে চাই, যারা সামনে যাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই নির্বাচনে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন।
তিনি আরও বলেন, ৩৫ বছর ধরে দলের সাথে আছি। বিএনপিতে অনেককেই আমরা যোগদান করিয়েছি, তারা বড় ভাই, বয়সে বড়। কিছু বলতে পারিনা কারন তারা সিনিয়র। কিন্তু তারা আজকে আমাদেরকে ভুলে গিয়ে যারা দলকে ধ্বংস করতেছে তাদেরকে নিয়ে দল করতে চান। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা প্রতিটি সংগঠনকে শক্তিশালী করি। আমরা আগামীতে যে কোন শক্তির বিরুদ্ধে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে দিব আমরাই একমাত্র জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সকলের মাঝে ঐক্যবদ্ধ সৃষ্টি করবো। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন কমিটি আসবে। এখানে যেনো নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি হয়। এখানে যেনো কেউ বলতে না পারে আমরা কোন জায়গা থেকে কারো মাধ্যমে কাউকে প্রভাবিত করে কমিটি এনেছি, বা কেউ যেনো বলতে না পারে এটা পকেট কমিটি। কেউ যেনো বলতে না পারে এই কমিটি মানি না, তার বিরুদ্ধে আমরা আরেকটি কমিটি দিমুু। ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমরা শপথ করি যেকোন মূল্যে আমাদের আইনজীবী ফোরামে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি আসবে। সবার প্রতি অনুুুরোধ থাকবে ফোরামের কমিটি যেনো নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে হয়। নির্বাচনে যেই নির্বাচিত হোক আমরা তাদেরকে মেনে নিবো। নির্বাচনের জন্য সিনিয়র আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কমিটি গঠনে নির্বাচন নিয়ে সাজ সাজ রব। নিজেদের মধ্যে নিজেদের প্রতিযোগীতা সেটা আমরা হিংস্বাত্মক পর্যায়ে নিবো না। যে কোন বিষয়ে দলের ভেতরে যদি ডেমোক্রিটি না থাকে, গণতন্ত্র না থাকে তাহলে আমরা কিভাবে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটাবো? আমরা গণতন্ত্রের ডাক দেই, সেটা মুখে বললে হবে না, টকশোতে বললে হবে না যে, গণতন্ত্র চাই, গণতন্ত্র চাই। নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে আগে গণতন্ত্র দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কেউ প্রার্থী হলে যোগ্যতা যাছাই করা যাবে, কে বেশি ভোট পাবে। আবার অগণতান্ত্রিকভাবে কমিটি হলে সাধারণ আইনজীবীরা মূল্যায়িত হবে না, কেউ কাউকে জিজ্ঞাসাও করবে না। দলের ভেতরে গণতান্ত্রিকভাবে পাশ করার পরেই কেউ নেতা হবে কিংবা জাতীয় নেতা হবে। সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা সিনিয়র আইনজীবীরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠন করে দিন।
জানাগেছে, ৭ই নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদ। ৮ নভেম্বর রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট সংলগ্ন এলাকায় এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল কাদির সোহাগের সঞ্চালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সিনিয়র অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন মিয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক আপ্যায়ণ সম্পাদক ও জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।
অনুুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম সুমন। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট শিমুল, অ্যাডভোকেট সামসুল আরেফিন টুটুল, অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট টুটুল সুলতানা, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মাসুদ সহ অন্যান্য আইনজীবীগণ।
আলোচনা সভা শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা, জেলা শহীদ জিয়া আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তার পিতার সুস্থ্যতা কামনা সহ দেশবাসীর জন্য মোনাজাত করা হয়।
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যে কারনে এদেশের মানুষ যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছিল, যখন এদেশের স্বাধীনতার সূর্য স্তমিত হতে যাচ্ছিল তখনি এদেশের সিপাহি এবং এদেশের আপামর জনসাধারণের শক্তির উত্থান হয়েছিল। সেই সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভারতের দিল্লির দালালেরা যে সময় কারাগারে বন্ধি রেখেছিল সে সময় বন্ধিদশা থেকে মুক্ত করেছিল।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা যে রকম যুদ্ধ করেছিলাম, ১৯৭৭ সালে যে রকম এদেশের সিপাহি জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল ঠিক সে রকমিভাবে এই বাংলাদেশের মানুষের আবার সময় এসেছে সেটা হলো এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পূণরায় ফিরিয়ে আনার জন্য আবার একটি যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে হবে এবং সেই যুদ্ধ হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদের যে সরকার রয়েছে সেই সরকারের হাত থেকে এদেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই সংগ্রামে আইনজীবীদেরই অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। সেই আন্দোলনে গণতন্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার নামকে আমরা আরো উজ্জল করবো।
সাখাওয়াত আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। কিন্তু বর্তমান সরকার এদেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এদেশের জনগণের অধিকার আজকে হরণ করেছে। দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের ভোটের অধিকার নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই। আজকে দ্রব্যমূল্যের কি অবস্থা সবাই দেখেছেন। এদেশের যে সেক্টরে যান দেখবেন আওয়ামীলীগের কিছু নেতা লুটেপুটে খাচ্ছে। এদেশের জনগণ জিম্মি হয়ে আছে। এদেশে প্রশাসন বলতে কিছু নাই। এদেশের প্রশাসন আজকে কিছু আওয়ামীলীগ নেতার হাতের পুতুলে পরিনত হয়েছে। তাই এই অবস্থা থেকে দেশকে উত্তোরণ ঘটাতে আইনজীবীদের সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করতে হবে।