সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামে সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের গেটের সামনে থেকে নামফলক ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মহানগর আওয়ামীলীগ। ২১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেম অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম আরমান, আহসান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহামুদা মালা, জিএম আরাফাত, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। এই দাবিতে বক্তারা কঠোর প্রতিবাদ জানান।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া করোনাকালেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন। ওই বিষয়ে অভিভাবকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয়ের ভেতরে বৈঠক করেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এমপি সকলকে জানান, সরকার বেতনের ব্যবস্থা করেছে। তারপরেও যদি বিদ্যালয়ের কোন অর্থের প্রয়োজন হয় সেটা আমি দেখবো।
ওইদিন বিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রধান ফটকের সামনে গেটে লাগানো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া মিডিয়াতে বক্তব্যে বলেছেন, এমপি খোকা চলে যাওয়ার পরে তার লোকজন নামফলক ভেঙ্গেছেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেন মিডিয়াতে দাবি করেছেন, এমপি খোকা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নামফলক ভাঙ্গিয়েছেন। দুজনের বক্তব্যে বিস্তর ফারাক থাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা জাতীয়পার্টি বিবৃতিতে দাবি করেছে, এমপি খোকা বিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার পর দুষ্কৃতকারীরা নামফলক ভেঙ্গেছে, এখানে এমপি খোকার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এখানে উল্লেখ্যযে, অর্থ আদায় না করার নির্দেশনা দিয়ে অভিভাবকদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারনে এমপি খোকার প্রতি নারাজ হন অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া। এই সুলতান মিয়া হলেন এমপি খোকার ঘোর বিরোধী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের মামা।