সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভাঙ্গার বিষয়ে যখন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আওয়ামীলীগ নেতারা বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন তখন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বলছেন, আনোয়ার হোসেন ভাই আমার আপন বড় ভাইয়ের মত। তাকে আমি বড় ভাইয়ের মত সম্মান করি, তিনিও আমাকে ছোট ভাইয়ের মত ¯েœহ করেন। তার সাথে আমার কোন দ্বন্ধ নাই।
নিজের অবস্থানের বিষয়টি খোলাসা করে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আমার বড় ভাইয়ের মত। সব সময় আমি তাকে বড় ভাইয়ের মত সম্মান করি। তিনিও আমাকে ছোট ভাইয়ের মত স্নেহ করেন। রাজনীতি করতে গিয়ে জামাত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে এক সাথে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। তার সাথে আমার কোন দ্বন্ধ নেই। আমার বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ও আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। এটা কোনভাবেই সোনারগাঁয়ের জনগণ মেনে নিবে না।
এমপি খোকা আরোও বলেন, আনোয়ার ভাইয়ের নাম সম্বলিত ফলকটি ভাঙ্গার খবর পেয়ে সাথে সাথে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী সহ কয়েকজনকে নতুন করে আনোয়ার ভাইয়ের নাম সম্বলিত নামফলক স্থাপনের নির্দেশ প্রদান করি।
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ১৭নভেম্বর মঙ্গলবার সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষের বিষয়ে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। কারন করোনাকালেও এই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুলতান মিয়া অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছিলেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। এ বিষয়ে এমপি খোকা ওইদিন অভিভাবকদের বলেন, সরকার বেতনের ব্যবস্থা করেছেন। তারপরেও যদি বিদ্যালয়ে বেতন পরিশোধে অর্থের প্রয়োজন হয় সেটা আমি দেখবো।
এই বৈঠক শেষে এমপি খোকা পৌরসভার দরপত ঠোটালিয়া এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যান এবং সেখান থেকে সাদিপুর ইউনিয়নের দবির উদ্দীন ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আরেকটি অনুষ্ঠানে যান। অন্যদিকে কে বা কারা বিদ্যালয়ের গেটের সামনে লাগানো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক ভেঙ্গে দেয়। ওই ঘটনায় আওয়ামীলীগের বেশকজন নেতা এমপি খোকাকে দায়ী করে আন্দোলন করছেন।