সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ রশিদ বলেছেন, আইনশৃংখলার সভায় যা আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয় তার কোন বাস্তবায়ন হয় না। যার ফলেই দীর্ঘদিন যাবত মদনপুরের চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। এখন থেকে আইনশৃংখলা কমিটির সভার সিদ্ধান্তগুলো মনিটরিং করা হবে।২৩ নভেম্বর সোমবার সকালে বন্দর উপজেলা মাসিক আইনশৃংখলা কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারময়ান মাকসুদ আহমেদ, বন্দর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুত বন্দর জোনাল অফিসের ডিজিএম।
উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরীন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছলিমা হোসেন শান্তা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির, বিএম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, হাজী ইব্রাহীম আলমচান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হালিম মাজহার সহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
সভায় বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী বন্দর ১নং খেয়াঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে স্বাগত জানান এবং কোভিট ১৯ সংক্রামন ঠেকাতে খেয়া পারাপারকারী সকল যাত্রীদের মাক্স পড়া বাধ্যকরণের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ফরাজীকান্দা গলাকাটাপুল সংলগ্ন সড়কের পাশে নাসিকের ময়লার ভাগারের অপসারন দাবি করেন। বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহমেদ ক্রাইমজোন ক্ষ্যাত তালতলা এলাকায় সড়কের দুপাশের ঝোপঝার পরিস্কার করায় ধামগর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদকে ধন্যবাদ জানান এবং সড়কটিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানান।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং মাদক নির্মুলে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দেন বন্দরে যারা মাক্স ছাড়া বাসা বের হবেন তারা যেনো জরিমানার ৫ শত টাকা সাথে নিয়ে বের হন। তা না হলে জেলে যেতে হবে। সভায় করোনার প্রকোপ ঠেকাতে সকলকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।