সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে তৎকালীন বিএনপি-জামাতের ৪ দলীয় জোট সরকার। নির্বাচনের ৪ দিনের মাথায় গাজী মজিবুর রহমানের বাড়ি সহ আরও বেশক’জন আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িঘরে বর্বর ভাংচুর ও হামলা চালিয়েছিল বিএনপির নেতারা। মিছিল করে শ্লোগান দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে উল্লাস করেছিল বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপি-জামাতের দেয়া সেই ক্ষত এখনও ভুলে যাননি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান।
তবে তার দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় তৃতীয় মেয়াদে থাকলেও গাজী মজিবুর রহমানের ভেতরে প্রতিহংসার রেশ মাত্র দেখা যায়নি। মিডিয়াতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি খুব সহজেই তার ও তার পরিবারের উপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরলেন। যারা তার বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালিয়েছিলেন যাদের নাম তিনি বলেছেন তারা বিনা বাধায় বিএনপির রাজনীতি করছেন। গাজী মজিবুর রহমান এতটাই সহজ সরল মানুষ যার ভেতরে ওই ঘটনায় ক্ষোভ বা প্রতিহিংসাও প্রকাশ পেলো না।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি- ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতায় আসার পরে দেশের অনেক জেলা ও উপজেলায় যুবলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ ওঠেছিল। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার অনেক এলাকার অনেক যুবলীগ নেতার নামের আগে পেছনে বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে একজন স্বচ্ছ পরিপাটি ক্লিন ইমেজের নেতা খুঁজতে গেলে সোনারগাঁয়ের সেই তালিকায় সবার আগে নামটি আসবে গাজী মজিবুর রহমান।
২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই নেতা। তবে দলীয় কোন্দল ও বিভক্তি গ্রুপিংয়ের কারনে তার হাতে সুযোগ এসেও হাতছাড়া হয়ে গেছে সেই ২০১১ সালে সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে প্রভাবশালী দুই মহলের মনোনয়ন যুদ্ধের ধাক্কায় মনোনয়ন পাননি গাজী মজিবুর রহমান। তবে এবারের নির্বাচনে তিনি প্রভাবশালী এক মহলের সুদৃষ্টিতে মনোনয়ন লড়াইয়ে শক্ত অবস্থানে।
সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচন ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসার ইতিহাস এবং আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে গাজী মজিবুর রহমানের কিভাবে অবদান ও ভুমিকা রয়েছে সেইসব বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন গাজী মজিবুর রহমান।
আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আসার গল্প জানতে চাইলে পৌরসভার আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি গাজী মজিবুর রহমান বলেন, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা ১৯৬৬ সালে আমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে সেই আমিনপুর ইউনিয়নই এখন পৌরসভা। আমার পিতা দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন। তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসতেন এবং বঙ্গবন্ধুর কথা আমাদের প্রায় সময়ই বলতেন। আমার জন্ম হয় ১৯৬৭ সালে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালবাসা থেকেই আমার নাম রেখেছিলেন মজিবুর রহমান। পিতার মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর কথা শুনতে শুনতে আওয়ামীলীগের প্রতি আমাদের দূর্বলতা চলে আসে।
তিনি বলেন, কলেজ পর্যায়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। পরবর্তীতে প্রয়াত নেতা আবুল হাসনাত সাহেবের সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় হই। আবুল হাসনাত সাহেবের সাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। ৯০সালে উপজেলা নির্বাচন, ৯১ সালে ও ৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নৌকার পক্ষে হাসনাত সাহেবের সাথে রাজনীতিতে ছিলাম। ২০০১ সালেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সাথেই ছিলাম। কোনদিন আওয়ামীলীগের বাহিরে গিয়ে রাজনীতি করিনি।
গাজী মজিবুর রহমান জানান, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার বছর খানিক পর গাজী মজিবুর রহমান সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে অধিষ্ট হোন। ২০০৪ সালের ৯ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হোন। তিনি বলেন, ২০১৫ সাল পর্যন্ত যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। আহ্বায়ক কমিটিতে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান আহ্বায়ক ছিলেন, আমি ও শাহআলম রুপম যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম।
২০০১ সালের পর বিএনপি-জামাতের ৪দলীয় জোট সরকার আমলে আপনার ভুমিকা কি ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০০১ সালের পর তো আমার বাড়িঘর ভাংচুর করা হলো। বিএনপির লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। আমার বাড়ি সহ আরো বেশকজন আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িঘর ভাংচুর করা করে। নির্বাচনের ৪দিন পর এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় তারা।
তিনি বলেন, ওই সময় আমি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলাম। মামলা হামলায় আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছিল। ঢাকায় ছিলাম অনেক দিন। তবে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি। আমি ঢাকার টঙ্গীবাড়ি ছিলাম অথচ ভট্টপুর এলাকায় একটি মারামারির ঘটনায় আমাকে মামলায় ১নং আসামি করা হয়। পরবর্তীতে সোনারগাঁয়ে যতগুলো রাজনৈতিক মামলা হয় প্রায় সবগুলো মামলায় আমাকে আসামি করা হয়। এমনকি কাঁচপুরের রেকার পুড়ানোর ঘটনায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল। অনেকগুলো দ্রুত বিচার আইনের মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল। এমন সব ঘটনার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল যেসব ঘটনা আমি জানিই না। ওই সময়কার বিএনপির এমপি রেজাউল করিমের নির্দেশে এসব মামলাগুলো আমাকে দেয়া হয়।
এর কারন হিসেবে সেই সময়ের দুঃসহ জীবন-যাপনের ঘটনা টেনে গাজী মজিবুর রহমান বলেন, রেজাউল করিম মুক্তিযুদ্ধের উপর একটি বই লিখেছিল। এই বইতে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট কথা লেখা হয়েছিল, তাই আমরা তার বই পুড়িয়ে দিয়েছিলাম এবং তার কুশপুত্তলিকাদাহ করতেছিলাম, সেদিন চৌরাস্তায় পার্কের সামনে থেকে আমার একজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়। সেখান থেকে আমরা জাদুঘরের সামনে এসে বিক্ষোভ করি। সেখান থেকে পুলিশ ধাওয়া দিলে আমরা গোয়ালদি গনির মোড়ে গিয়ে বিক্ষোভ করি। পুলিশ সেখানেও গিয়ে আমাদের ধাওয়া দেয়, লাঠিচার্জ করে। সেদিন পুলিশ আমাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেছিল। চৌরাস্তায় আমি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি। এ রকম বহু ঘটনা রয়েছে।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে আমি গ্রেপ্তার হয়েছিলাম। বনশ্রীতে একটি কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম সেখান আমাকে পুুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করে সেখান থেকে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়।
শুধু নিজেই নয় তার পরিবারের উপরও নির্যাতন করা হয়েছিল। সেই চিত্র তুলে ধরে গাজী মজিবুর রহমান বলেন, আমার দুই ভাই গাজী ফারুক ও গাজী হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারা ১৫ দিন করে কারাভোগ করেছিল। তারা জামিনে মুক্তি পায়। আমার বৃদ্ধ পিতাকেও পুলিশ আটক করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। যদিও উনাকে রাস্তায় নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। মুলত আমাকে না পেয়ে বাসায় এসে তাদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আমি ঢাকা থেকে সোনারগাঁও এসেছি এই খবর বের হলেই তখন পুলিশ বাড়িতে ভরে যেতো। একদিন আমি বাড়িতে এসেছিলাম এটা হয়তো কেউ দেখেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পুলিশ পুরো বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে। কিন্তু আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না, আমি ছিলাম উপজেলায়। আমি খবর পেয়ে আর বাড়িতে আসতে পারিনি। এ রকম বহু ঘটনা রয়েছে। পরবর্তীতে লগি বৈঠা আন্দোলনে একইভাবে রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রেখেছি। প্রয়াত নেতা দিনেশ সূত্রধরের বাড়িতে বৈঠা বানাইছি। কয়েক’শ বৈঠা আমরা তখন বানাইছি। লগি বৈঠা মিছিলে আমরা মায়ামহল সিনেমা হল থেকে চৌরাস্তা হয়ে মেঘনা পর্যন্ত শোডাউন করেছি। ১/১১ এর সময় নেত্রী যখন গ্রেপ্তার হন তখন তার মুক্তির দাবিতেও অনেক আন্দোলন করেছি। তবে বিএনপির আমলে একটি দিনও বাড়িতে ঘুমাতে পারিনি।
আপনার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ স্বজনদের মধ্যে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কে কে জড়িত আছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, গাজী মজিবুর রহমানের ছোট ভাই গাজী আতাউর রহমান উপজেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। আরেক ভাই গাজী ফারুক হলো পৌর যুুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সে শেখ রাসেলের থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। চাচাতো ভাই আছে গাজী জুয়েল সে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিতে রয়েছে। চাচাতো ভাই গাজী আমজাদ হোসেন, তিনি পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি। মহিলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারি পদে রয়েছেন গাজী মুজিবুর রহমানের ছোট ভাইয়ের সহধর্মিনী ইসমত আরা।
২০১১ সালে সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় সমর্থিত প্রার্থী হয়েও কি কারনে মেয়র নির্বাচিত হতে পারেননি জানতে চাইলে গাজী মজিবুর রহমান বলেন, আমি প্রথমে ৯৭ সালে সোনারগাঁও জি.আর ইনস্টিটিউশনে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করেছিলাম। ওই সময় এই নির্বাচনটি খুব ফাইটিং হতো। ওই নির্বাচনে আমি ফার্স্ট হয়েছিলাম। নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বলতে এটাই ছিল আমার। ২০১১ সালে যে নির্বাচন করেছিলাম সেটা তো আমার জনপ্রতিনিধি হিসেবে ছিল প্রথম নির্বাচন। আমার হয়তো বুঝার বা জানারও অনেক গেপ ছিল যা আমি বুঝতে পারিনি। আমি মনে করেছিলাম আমি পাশ করবো, আমি পাশ করতে পারিনি অনেক কারনেই। নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তারপর প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছিল। যেমন নির্বাচনের তিনদিন আগে আমার সহধর্মিনীর গাড়িকে ৫’শ টাকা জরিমানা করেছিল, যা আক্রোশমুলক। নির্বাচনের দিন আমার প্রতীকের যেখানেই ব্যাজ দেখছিল, কেন্দ্রের সামনে কর্মীদের দাঁড়াইতেই দেয়নি র্যাব পুুলিশ। তারপরেও জয়ের কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কয়েকটি ওয়ার্ডের কেন্দ্রে আশানূরূপ ভোট পাইনি, আবার আমার বাড়ির কাছাকাছি দুটি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ৮’শতাধিক ভোট পায়। এসব বিষয়গুলোর কারনেই হয়তো পরাজিত হয়েছি।
২০১৫ সালের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা না পেলেও এবারের নির্বাচনেও আপনি নৌকা প্রতীক দাবি করছেন। গত নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ থেকে আপনার নামটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। এবার স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রতি আপনার দাবি কি থাকবে জানতে চাইলে গাজী মজিবুর রহমান বলেন, গত নির্বাচনে অনেক চেষ্টা আমি করেছিলাম। সবার কাছেই গিয়েছিলাম। তৃন্যমূল থেকে আমার নামটি প্রস্তাব করা হয়নি, তবে ওই সময় আমি আমার সিভি জমা দিয়েছিলাম। সেই তালিকায় আমার নাম ঢুকানো হয়। পরবর্তীতে মনোনয়ন পাইনি। মনোনয়ন না পেলেও আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষেই কাজ করেছি। এবার আমার দাবি হলো ৫ বছর পর নির্বাচন আসছে। আমি একজন প্রার্থী। তৃন্যমূল পর্যায়ে যারা আছেন যেমন ওয়ার্ড, পৌরসভা কমিটি, থানা ও জেলা কমিটিতে যারা আছেন, আমার বিশ্বাস তারা এবার বিবেচনায় আনবেন যে, গাজী মজিবুর রহমান একজন ত্যাগী, দীর্ঘদিন যাবত দল করছি, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি লুটৎরাজ এসব আমার নাই, এসব কাজে আমি কোনদিন জড়িত ছিলাম না। আমি একজন ক্লিনম্যান হিসেবে আমার দাবি- যেহেতু দলের প্রতি আমার ত্যাগ রয়েছে, দলের পক্ষে কাজ করেছি, একটা নির্বাচন করেছি, গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাইনি নৌকার পক্ষেই ছিলাম, তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে যদি আমার নামটা কেন্দ্রে প্রস্তাবনায় পাঠায় তাহলে আমি আশা করি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিবেন। তাদের কাছে আমার দাবি প্রথম। যদি তারা ত্যাগের মূল্যায়ন করে প্রস্তাবনা পাঠায় তাহলে আমার নামটাই সবার আগে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস।
পৌরবাসীর প্রতি আপনার আহ্বান কি জানতে চাইলে গাজী মজিবুর রহমান বলেন, পৌরবাসীর প্রতি আহ্বান হলো পৌরসভা ঘঠিত হয়েছে প্রায় ২০ বছর হয়ে গেছে। এতগুলো বছরে পৌরসভার অনেক জায়গায় উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। দরপত ঠোটালিয়া, সাহাপুর, ভট্টপুর, ষোলপাড়া সহ বেশকিছু এলাকার রাস্তাগুলো দেখলে হতাশ হওয়ার মত অবস্থা। এখন জনগণ যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে পৌরসভার উন্নয়ন করতে পারবো। আমি যেহেতু সরকারি দল করি তাই আমি উন্নয়ন কাজ আনতে পারবো। রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বাতি সহ নানা সমস্যাগুলো সমাধান করবো। পৌরবাসীর যে যে সমস্যাগুলো আছে যেমন মাদক সন্ত্রাস ইভটিজিং সহ এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
আওয়ামীলীগের বিভক্তি ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার লক্ষণ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের এই আসনে আওয়ামীলীগের এমপি নাই। এমনিতেই আমরা বেকায়দার মধ্যে আছি। যদিও আমাদের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছেন। কিন্তু দলের ভেতরে যে কোন্দল গ্রুপিং আছে, কিন্তু আমি আশা করি যদি আমি নৌকা পাই তাহলে সকলে এক কাতারে এসে নৌকার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। কারন আমার বিশ^াস অতীতে যে ভুলগুলো হয়েছে এবার আর সেই ভুলগুলো এখানে কেউ করবে না। এবার দলীয় স্বার্থেই আমাদের সকলকে এক হতে হবে।