সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার কমিটি গঠনকল্পে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে নোটিশ সাটিয়েছেন।
তফসিলে নির্বাচন কমিশন জানায়, সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে মনোনয়ন পত্র সংগহ করতে অফেরত যোগ্য জামানত হিসেবে দিতে হবে ২০ হাজার টাকা ও বাকি তিনটি পদে ১০ হাজার টাকা মূল্যে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র ও বাছাই অনুষ্ঠিত হবে। ৫ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার ও ব্যালট নং প্রদান করা হবে। ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আইনজীবী সমিতির নির্মানাধীন ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
সকল প্রার্থীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি হিসেবে তিনটি শর্ত দিয়ে জানিয়েছে, সকলের সঙ্গে সোহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে, কারো প্রতি কুৎসা রটানো যাবেনা এবং ভোটারদের সাথে সকল ধরণের আর্থিক লেনদেন হতে বিরত থাকতে হবে।
অন্যদিকে আইনজীবী ফোরামের নেতৃত্বের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন বিএনপির দশ আইনজীবী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ শীর্ষ ৫টি পদে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারিত হবে। আগামী ৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা পুুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন।
এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। ২৯ নভেম্বর রবিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় টিমের আহ্বায়ক মাহাবুব উদ্দীন খোকন নারায়ণগঞ্জের দুই গ্রুপের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেন। বৈঠকে উপস্থিত অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ফোরামের কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসেন।
আইনজীবীদের সূত্রে, নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় বিএনপির আইনজীবীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে রাজনীতি করছেন। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এই তৈমূর আলম বলয়ের সঙ্গে একজোট হয়ে সাখাওয়াত বিরোধী রাজনীতিতে রয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালামের অনুগামী বেশকজন আইনজীবী।
এই নির্বাচনে তৈমূর আলম বলয় থেকে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সীমা সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন। অপরদিকে সাখাওয়াত বলয় থেকে সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু, সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন। তবে নির্বাচনে আরও প্রার্থী বাড়তে পারে বলেও ধারণা করছেন আইনজীবীরা।