বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে মৌলবাদীরা, স্বাধীনতা বিরোধীচক্র: আনোয়ার হোসেন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা ফের মাথাচাড়া দিতে চাইছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও বদনাম করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আপনার যারা নারী-পুরুষ রয়েছেন, আপনারা এই অপপ্রচার থেকে বিরত থাকবেন। সব দেশে ভাস্কর্য রয়েছে, কোন কোন দেশে তাদের দেশ প্রধান-বাদশা-বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভাস্কর্য রয়েছে। আর আমাদের দেশের মোল্লারা এখন বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে বির্তকের পাঁয়তারা চলছে।

আনোয়ার হোসেন বলেন, কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধু নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভেঙ্গেছে মৌলবাদীরা, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। ওই যে বাবুনগরীর দল বলে ভাস্কর্য নিয়ে না কি রক্তের বন্যা বয়ে দিবে। ওরা তো সেই শাপলা চত্বরে বলে ছিল, কিছুক্ষণের মধ্যে বঙ্গভবন দখল করবে। এরপর কি হল, আধঘন্টার মধ্যে লেক গুটিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

৭ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কম্পিউটার ল্যাবে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ কর্তৃক বেকার যুবক-যুবতিদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স, অসহায় ও দুস্থ মহিলাদের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণসহ সেলাই মেশিন সহ সেলাই মেশিন প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এখানে কম্পিউটার কোর্স সমাপ্ত হওয়ায় ১০জনকে সনদপত্র প্রদান ও নতুন ব্যাচের ১০জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ২ ব্যাচে ৮০জনকে সেলাই মেশিনসহ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, সদস্য মোস্তফা হোসেন চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ও প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষনার্থী সহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

তিনি সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, জেলা পরিষদের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। বিনা খরচে বিভিণ্ন প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন বিতরণ ও ভ্যান গাড়ী দেয়া হয়, সেখানে জেলা পরিষদের অর্থায়ন থেকে ব্যয় হয়। এখান থেকে প্রশিক্ষণ ও সনদ নিয়ে বাহিরে চাকরি নিতে পারলে, ঘরে কাজ শুরু করুণ, যেন রুটি রুজি খরচ আসে। সরকার চায়, দেশের কোন জনগণ যেন কর্মহীন না থাকে। আপনাদের সন্তান, মা, স্বজনদের এই প্রশিক্ষণ দিন, যেন তারাও কমসংস্থানে সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে দেশের মানুষ উন্নত থাকুক, ওরা চায় না।