সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আগে গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সদস্য সচিব পদে রয়েছেন অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। দুজনেই রাজপথের সক্রিয় নেতা। কিন্তু তাদের পেছনে বিতর্কের শেষ নেই।
একইভাবে ৪১ সদস্যের কমিটিতে বেশির ভাগ নেতারাই ওয়ানম্যান শো কর্মীহীন নেতা, কেউ কেউ সাজাপ্রাপ্ত আসামি, অনেকের সঙ্গে প্রকাশ্যে সরকারি দলের যোগসাজোস, অনেকের রাজপথে তো দুরের কথা বিএনপির দু’একটি মানববন্ধনেও দেখা মিলেনি, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনেও ছিলেন না, তারাও আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব পেয়েছেন। যেখানে বাদ পড়েছেন জেলা বিএনপির আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের মত নেতারা। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ধ্বংসের আরেক ধাপ পেড়িয়েছে এবার।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সাত খুনের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা ছিল তৈমূর আলম খন্দকার ও মামুুন মাহামুদের। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন তৈমূর। ওই সময়ের মাঝে তিনি শিল্পপতি সফর আলী ভুঁইয়াকে আহ্বায়ক ও মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি দেন। এই কমিটিতে নূর হোসেনের আপন ভাই মিয়া মোহাম্মদ নূর উদ্দীনকে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে রাখা হয়। বিনিময়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপিকে আলীশান কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দেন নূর হোসেন। সাত খুনের পর সেই কার্যালয়ের ভাড়া না দেয়ায় কার্যালয়টি ছেড়ে দিতে হয়।
এ ছাড়াও নূর হোসেনের সঙ্গে সখ্যতা ছিল জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিরও। নূর হোসেনের গানম্যান আনোয়ার হোসেন আশিককে তৈমূর আলমের বাসায় সম্মেলনে তৈমূর আলমের সমর্থনে মহানগর শ্রমিকদলের সেক্রেটারি বানিয়েছিলেন। টিএইচ তোফাকে তরুণ দলের সভাপতি করে তাকে বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছিলেন তৈমূর। টিএইচ তোফাও ছিলেন নূর হোসেনের অন্যতম স্টান্ডের কালেক্টর। তারা দু’জনেই আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। নুর হোসেন বিএনপিতে এত্তসব করার কারন হলো সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দীনের সঙ্গে নূর হোসেনের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। যাতে গিয়াসউদ্দীন বিএনপির এমপি না হতে পারে সে কারনেই মুলত নূর হোসেন বিএনপিতে বিনিয়োগ করেছিলেন। নূর হোসেন থাকাকালীন সময়ে তার কার্যালয়ে অনেক বিএনপি নেতাদের যাতায়াত ছিল।
এদিকে কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি ওয়ানম্যান শো নেতা। মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এ নেতার তেমন কোন বিশাল কর্মীর সংখ্যা নেই। একই দশা যুগ্ম আহ্বায়ক রূপগঞ্জের নাসির উদ্দীনেরও। তারাবো পৌর নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কারসাজি করে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রস্তাবকারীকে নিজের প্রস্তাবকারী বানিয়ে মনোনয়ন পত্র বাতিল করানোর কৌশলটা কাজে লাগিয়েছেন তিনি। ধানের শীষ প্রতীকের ইজ্জত রাখতে পারেনি সেই একটি পৌরসভার নেতাকে রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে। অতীতে তাকে এককভাবে কোন শোডাউন করতেও দেখা যায়নি। এমন ধরণের ওয়ানম্যান খ্যাত নেতা সিদ্ধিরগঞ্জের আব্দুল হাই রাজু। তিনিও যুগ্ম আহ্বায়ক। যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দুর যোগ্যতা কেবল তার ভাতিজা কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ পদে থাকা। আবদু আগের কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন। তারপর থেকেই নেতাকর্মীরা তাকে চিনেন।
রূপগঞ্জের ধারভারহীন সেক্রেটারি পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন। মুলত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরের বৌদলতে তিনি এখনও দলের বড় বড় পদ বহন করছেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজপথে তার তেমন কোন ভুমিকা নেই। তিনিও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা ছিলেন ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। গত কমিটিতে তাকে জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়। এই পান্না মোল্লা ফতুল্লায় বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উচিয়ে গুলিবর্ষণ করেছিলেন। অস্ত্রবাজ এই নেতাকে আবারো রাখা হয়েছে জেলা কমিটির শীর্ষ পদে।
এদিকে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খন্দকার আবু জাফর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদেও রয়েছেন। সোনারগাঁয়ের বিএনপির নেতাকর্মীরা যারা মামলা হামলার শিকার তাদের পেছনে তার কোন ভুমিকা নেই। রাজপথেও তার কোন ভুমিকা দেখা যায়নি। কমিটি আর নির্বাচন আসলেই তিনি রাজনীতিকে উকিঝুঁকি মারেন।
নজরুল ইসলাম টিটু আগের কমিটিতে সহ-সভাপতি ছিলেন। এরও আগে তিনি সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন। সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ওরা ১১ জনের একজন ছিলেন এই টিটু। তার সন্তান কাজী লিটু করছেন জাতীয়পার্টির রাজনীতি। লিটু মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে এবার জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান প্রার্থী। অথচ এই ইউনিয়নে টিটু বিএনপির সমর্থনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
ভাগ্যের সমাহারে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। গত কমিটিতে ছিলেন সহ-সভাপতি, আগের কমিটিতেও ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। একইভাবে ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক, এর আগের দুই মেয়াদে ছিলেন থানা বিএনপিরও সাধারণ সম্পাদক। সারা বছর রাজনীতি করেন তিনি আওয়ামীলীগের হয়ে। দেলপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে শামীম ওসমানের সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ’আমার নেতা শামীম ওসমান, আমি বিএনপি নেতা হয়ে শামীম ওসমানকে স্যালুট জানাই।’ সদর উপজেলায় গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে বসিয়ে দিয়েছিলেন আজাদ বিশ্বাস। এজন্য তৈমূর আলম নিজেই আজাদ বিশ্বাসকে শোকজ করেছিলেন। তৈমূর আলমের বাসায় এক সভায় জেলা বিএনপির নেত্রী রহিমা শরীফ মায়া আজাদ বিশ্বাসের সামনেই বলেছিলেন, এই আজাদ বিশ্বাস আওয়ামীলীগের দালাল, শামীম ওসমানের দালাল।’
দাউদপুুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন শরীফ আহাম্মেদ টুটুল। তাকেও রাখা হয়েছে সদস্য পদে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির রাজনীতিতে তার কিঞ্চিত ভুমিকা নেই। গত দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেখানে বিএনপির প্রার্থী না করাতে টুটুলের হাত ছিল। সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে যায়। দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করলো কিন্তু তাকেই কেন জেলা কমিটির সদস্য পদে রাখা হলো বিরাট প্রশ্ন।
কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান সুমন। অনেকটা পৌত্রিক সূত্রে তিনি বিএনপি নেতা। তার পিতা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু মারা যাওয়ার পর জোর করেই আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করেন। অথচ আড়াইহাজার কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থাকা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হওয়ার কথা মীরজুল হাসান নয়ন মোল্লার। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির রাজনীতিতে সুমনের কোন ভুমিকা নেই। তার বাবার মৃত্যুুর পর বিএনপিতে তিনি নামেমাত্র আলোচনায় বিএনপি নেতা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ছিলেন মোশারফ হোসেন। আগের কমিটির জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন তিনি। জেলা বিএনপির সভাপতি হওয়ার আগেই তিনি যুবদলের পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছিলেন। ওই ঘটনায় নিজ দলের নেতারা মামলাও করেছিলেন। জেলা যুবদলের সভাপতি হওয়ার পর জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা ৬ মাস তার বিরুদ্ধে জুতা ঝাড়ু মিছিল করেছিলেন। কমিটিতে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠেছিল। তাকেই রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য পদে।
রূপগঞ্জের বশির উদ্দীন বাচ্চু নামেমাত্র কাজী মনিরের ঘনিষ্টজন হিসেবে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতিতে তেমন কোন প্রভাব ও ভুমিকা নেই তার। রূপগঞ্জের দু’চারজন নেতাকর্মী তাকে চিনলেও জেলার অন্যান্য থানার নেতারা তার নামও শুনেননি।
কাচপুুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমী। নিজেকে হাজী সেলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চান। একটি ইউনিয়ন কমিটির নেতাকে জেলা কমিটেতে রাখা হয়েছে। তার গন্ডি মুুলত কাচপুরেই। তার আপন ভাই এবার জাতীয়পার্টির রাজনীতিতে জড়িয়েছেন। সোনারগাঁও পৌরসভার মোশারফ হোসেনকেও রাখা হয়েছে সদস্য পদে। রেজাউল করিমের ওরা ১১ জনের একজন মোশারফ হোসেন। বিএনপি জামাত সরকার আমলে তার দাপটের চিত্র মনে করলে তার নাম শুনলেই হিন্দু সম্প্রদায় ভয়ে কেপে ওঠে।
এ ছাড়াও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন। পদ হারানোর পর তিনিও ওয়ানম্যান শো মার্কা নেতায় পরিনত হয়। সোনারগাঁয়ে যার দশজন মাত্র কর্মী খুজে পাওয়ায় দায় সেই ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুলকে রাখা হয়েছে সদস্য পদে। বিএনপির রাজপথের রাজনীতিতে তার সামান্যতম ভুমিকা নারায়ণগঞ্জে দেখা যায়নি।
১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাবিবুর রহমান হাবুকে রাখা হয়েছে সদস্য পদে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। আড়াইহাজারের মানুষ তাকে ডাকাত হাবু হিসেবে চিনেন। মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি জামিনে বের হয়েছেন। এ ছাড়াও রূপগঞ্জের দুলাল হোসেন ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে। রূপগঞ্জে তার কোন প্রভাব না থাকলেও তাকে রাখা হয়েছে জেলা কমিটিতে। আড়াইহাজারের আবুল কাশেম ফকিরেরও প্রভাব নেই। তিনি মুলত সুমনের বাবা খসরুর কর্মী ছিলেন। ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, আব্দুল আজিজ মাস্টার, শাহআলম হিরা, হামিদুল হক খান, বাকির হোসেনের পরিচয়ই নেতাকর্মীরা সান নারায়ণগঞ্জকে দিতে পারেনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সেক্রেটারি ছিলেন এমএ হালিম জুয়েল। গত দশ বছরেও বিএনপির রাজনীতিতে তার কোন সক্রিয়তা দেখা যায়নি। রূপগঞ্জের অ্যাডভোকেট গোলজার হোসেনকেও বিএনপির রাজনীতেতে সক্রিয় দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীততে মোস্তাকুর রহমান। নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীরা তাকে চিনেই না। ওয়ানম্যান শো বরিশাইল্লা রহুল আমিন সিকদারকে এবারও রাখা হয়েছে সদস্য পদে।
জেলা বিএনপির সদস্য পদে রয়েছেন জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক নুরুন্নাহার বেগম ও যুগ্ম আহ্বায়ক রহিমা শরীফ মায়া। তারা আগের কমিটিতেও সভাপতি ও সেক্রেটারি পদে ছিলেন। কিন্তু তারা মহিলা দলের কমিটিরই পূর্ণাঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চরম বিরোধ বিভক্তির কারনে ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে মারামারির ঘটনাও ঘটেছিল মহিলা দলের নেত্রীদের মাঝে। অথচ তাদেরকে পুরস্কৃত করা হলো।
সোনারগাঁও সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান মাসুম ও জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিককেও রাখা হয়েছে জেলা কমিটির সদস্য পদে। মাসুমকে রাজনীতিতে দেখা গেলেও আল মুজাহিদ মল্লিককেও বিএনপির রাজনীতিতে দেখাই যায়নি। আড়াইহাজার যুবদলের আহ্বায়ক জুয়েলকে রাখা হয়েছে সদস্য পদে। অথচ সে তার কমিটিিই পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি প্রায় ৭/৮ বছরেও। রিয়াজুল ইসলামও নাই বিএনপির রাজপথের রাজনীতিতে।
জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুকুল ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল কবির মামুন পদ হারানোর পর বিএনপির রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয়। তারা যুবদলের রাজনীতিতে তুমুল বিরোধ সৃষ্টি করেছিলেন। নানা এই দুই নিষ্ক্রিয় নেতাকে রাখা হয়েছে জেলা বিএনপির কমিটির সদস্য পদে। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন বিএনপির ধ্বংসের আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।