যেসব কারনে জেলা বিএনপি থেকে মাইনাস রাজীব

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গত ৩০ ডিসেম্বর অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আগের কমিটির তিনজন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে জাহিদ হাসান রোজেল ও নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লাকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হলেও অপর সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে রাখা হয়নি সদস্য পদেও।

বিষয়টি বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কারন কমিটি হওয়ার আগে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় অনেক নেতাদের মাঝে সেক্রেটারি পদে আলোচনায় ছিলেন মাসুকুল ইসলাম রাজীব। কিন্তু কি কারনে জেলা কমিটিতেই তাকে রাখা হলো না সেই বিষয়টি নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে নানা বিশ্লেষন চলছে। তবে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান রবিন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজীবকে না রাখার কারন উল্ল্যেখ করেছেন। যেখানে তার চরম ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে।

রবিন তার ফেসবুকে লিখেছেন, নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সহযোদ্ধার কাছ থেকে ফোন এবং মেসেজে, একটাই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভাই এটা কেমন জেলা কমিটি হলো? যেখানে রাজীব ভাইয়ের মতো সাহসী নেতৃত্ব মাইনাস? ভাই কাদের ষড়যন্ত্রে মইনাস হলো? তার অন্যায়টা কি?

‌উত্তরে আসলো বিগত কমিটিতে রাজীব ভাই ছিলো আপোষহীন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর সেখানে স্রোতের সাথে তাল মিলিয়ে শিল্পপতিদের কারখানার শ্রমিক হতে না পাড়াটা ছিলো তার অন্যায়, বিগত কমিটিতে শিল্পপতিদের পালিতো আওয়ামী দালালদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করাটা ছিলো তার অন্যায়, বিগত কমিটিতে সাংগঠনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী কথা বলাটা ছিলো অন্যায়, বিগত কমিটির চিপাগলির ফটোসেশন রাজনৈতিক কর্মসূচীর বিরুদ্ধে আনাস্থা জ্ঞাপন করাটা তার ছিলো তার অন্যায়, বিগত দিনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থাকাটা ছিলে তার অন্যায়, বার বার কারা নির্যাতিত হয়েও রাজপথে অবস্থান করাটা ছিলো তার অন্যায়, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দারা পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েও আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করাটা ছিলো তার অন্যায় রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জে রাজপথে তারুণ্যের জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান থাকাটা ছিলো তার অন্যায়। বরাবরের মতো তিনি তার বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বলেছিলেন সংগঠন চলবে সাংগঠনিক নিয়মে কোনো ব্যাক্তি স্বার্থে মনগড়া ভাবে চলতে পাড়ে না তিনি আরো স্পষ্ট করে বলেছিলেন আমরা কোনো ভাইয়েয় রাজনীতি করি না আমরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শের রাজনীতি করি আর এই আদর্শ ন্যায় নীতি এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও আগামী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান ব্যাপারে কোনো আপোষ হবে না…তার এই আপোষহীন সাহসী অবস্থানই বাণিজ্যিক কমিটির দোকানদারদের ষড়যন্ত্রে শিকার হয়ে মাইনাসের রাজনীতিতে শিকার হন রাজীব ভাই।’