সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আসন্ন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী আবু নাঈম ইকবাল ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ে ভোটের মাঠে নির্বাচনী হাওয়া সৃষ্টি করেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার একনিষ্ঠ বিশ্বস্ত এই কর্মী ইতিমধ্যে সোনারগাঁয়ের শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক ও জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। ভোটের দাবিতে ঘরে ঘরে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। তবে তিনি নির্বাচিত হওয়ার আগেই সোনারগাঁয়ের মানুষের সেবায় সমাজ সেবক হয়ে গেছেন আগেই। এতদিন উন্নয়নে ভুমিকা রেখেছেন নিজের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায়। এখন শুধু একটি পবিত্র চেয়ারে বসে সেই চেয়ারের দায়িত্ব পালন করে ব্যাপক উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চান তিনি। সোনারগাঁবাসীর সেবায় তিনি মাস্টার প্লান করে সেই প্লান স্থানীয় এমপিকে নিয়ে বাস্তবায়নে কাজ করতে চান। পূর্বের কাজগুলোতে যেভাবে স্থানীয় এমপিদের সহযোগীতা পেয়েছেন একইভাবে তিনি এমপির সহযোগীতা নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের চেয়ারের শতভাগ কাজ তিনি করার স্বপ্ন দেখেন।
জানাগেছে, সোনারগাঁয়ে যখন মাদকের ছড়াছড়িতে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে গ্রাস করার পথে তখন খেলাধুলায় তাদের মনোযোগী করতে খেলাধুলায় ঝুকে নিয়ে আসেন আবু নাঈম ইকবাল। ছাত্র ও যুব সমাজের জন্য এমপিকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার পরিত্যাক্ত স্টেডিয়ামটি উদ্ধার করে সেটাকে খেলার উপুযোগী করেছেন তিনি। উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে যার ভুমিকা অনেক। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও পিছিয়ে নেই এই শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক। এসব ভাল কাজের ফলে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রিয় পাত্র হিসেবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন সোনারগাঁয়ে। শিক্ষক সমাজ ও ক্রীড়া প্রেমীরাই সবার আগে তার নির্বাচনী মাঠ গরম করেছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু না হলেও ভোটের মাঠে সবার আগে একমাত্র আবু নাঈম ইকবাল। কারন উপজেলায় নির্বাচিত হতে হলে শিক্ষক সমাজ, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শ্রেণি, ক্রীড়া প্রেমী ক্রীড়া সংগঠক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন মুখ্য বিষয়। যাদের সমর্থন ইতিমধ্যে আবু নাঈম ইকবাল পেয়েছেন।
আবু নাঈম ইকবাল সম্পর্কে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন আবু নাঈম ইকবাল। স্কুল জীবন পেরিয়ে সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজ ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হয়েই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে শ্লোগান তুলেন তিনি। বর্তমান সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম যখন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন ওই সময় কালাম সোনারগাঁয়ে ছাত্র সমাজকে রাজনীতিতে সংগঠিত করার কাজ করেন। কালামের সঙ্গেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে পুরোদমে নেমে যান তিনি। প্রতিটি এলাকায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে কাজ করেন তিনিও।
এছাড়াও ওই সময়ের দিকেই সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে আহ্বায়ক ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার এবং যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন আবু নাঈম ইকবাল ও এমএ সাঈদ। ওই আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগের সম্মেলন ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। ওই সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন মাহফুজুর রহমান কালাম ও সাধারণ সম্পাদক হন পিরোজপুুরের মাহফুজ।
ছাত্রলীগের রাজনীতিতে ব্যাপক ভুমিকা রাখায় ২০০০ সালের পর সোনারগাঁও থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটিতে সদস্য পদে নির্বাচিত হন আবু নাঈম ইকবাল। তারপর আর রাজনৈতিক কোন পদে আসেননি আবু নাঈম ইকবাল। রাজনীতিতে পদার্পন ঘটলেও পরবর্তীতে তিনি জড়িয়ে পড়েন সমাজ সেবায়। ভুমিকা রাখতে শুরু করেন উপজেলার শিক্ষার ও ক্রীড়ার উন্নয়নে। যার ফলে এখন তিনি রাজনীতিবিদের চেয়ে একজন শিক্ষানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত।
বর্তমানে আবু নাঈম ইকবাল সোনারগাঁও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিশ্বাস করেন খেলাধুলার দিকে যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজকে আটকে রাখতে পারলে মাদক থেকেও তাদের দূরে রাখা যাবে। সেই সঙ্গে তিনি স্বপ্ন দেখেন সোনারগাঁও থেকে একদিন জাতীয় ক্রিকেট দলে ও জাতীয় ফুটবল দলে সোনারগাঁও থেকে জাতীয় মানের খেলোয়ার ওঠে আসবে। সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। যে কারনে উপজেলার ক্রীড়া প্রেমী ও ক্রীড়া সংগঠকদের প্রথম পছন্দ আবু নাঈম ইকবাল। ক্রীড়া প্রেমীরাও ইতিমধ্যে আবু নাঈম ইকবালের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।
এছাড়াও তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলায় শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে আসছেন। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্যও তিনিও। রয়েছেন সোনারগাঁয়ের ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে। এই বিদ্যালয়টি বেশকয়েকার ফলাফলে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। যার মুল ভুমিকায় ছিলেন তিনি। তিনি সোনারগাঁও মহিলা কলেজের দাতা সদস্য। আরও অসংখ্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গেও তিনি জড়িত। কাজ করছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও। উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর নানা সমস্যাগুলো তিনি সমাধানে কাজ করেন। শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সমস্যাগুলো তিনি স্থানীয় এমপি ও ইউএনও এর কাছে তুলে ধরেন এবং সমাধানেও নিজেকে জড়িয়ে ভুমিকা রাখেন সরাসরি। যে কারনে উপজেলায় শিক্ষকদের প্রথম পছন্দও তিনি। ইতিমধ্যে উপজেলার শিক্ষক সমাজ তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সমর্থন ঘোষণা করেছে।
তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ আদালতের একজন নম্র ভদ্র ক্লিন ইমেজের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুব আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন অ্যাডভোকেট এটি ফজলে রাব্বী। তিনি সোনারগাঁও পৌরসভার গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারনে তার জয়টা হাতছাড়া হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন আবু নাঈম ইকবাল। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ফারুক ভূইয়াও সমাজ সংখ্যক ভোট পান। ফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হলে এতে ফারুক ভূইয়ার দিকে যায় লটারির ভাগ্য। তবে সেই পরিস্থিতির অনেক উত্তোরণ ঘটেছে এবার। যে কারনে এবার আবু নাঈম ইকবালের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। স্থানীয় এমপির সমর্থন ও আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির সমর্থন ছাড়াও শিক্ষক সমাজ, ক্রীড়া প্রেমী, ক্রীড়া সংগঠক এবং জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই আবু নাঈম ইকবাল।
এ সংক্রান্ত আরেকটি সংবাদ পড়তে নিচে ক্লিক করুন:
নির্বাচিত হওয়ার আগেই যিনি সমাজ সেবায়: শিক্ষা ও ক্রীড়াঙ্গনে তার যেসব ভুমিকা