সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ২৬ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের অনুগামী জামিন পেয়েছেন বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী। ২৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন দেন।
এছাড়াও অপর আরেকটি মামলায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম ইমন একই আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পেয়েছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির ও অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দীন সরকার সহ বেশকজন আইনজীবী।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ থানায় উপজেলার বাগলা এলাকার তারাজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুল মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে একটি ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির ৭৬ জন নেতাকর্মীর নাম উল্ল্যেখ সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬০ থেকে ৭০জনকে আসামী করা হয়।
মামলায় বাদী দাবি করেন- তার বাড়ির সামনে একটি সেমি টিনসেড ঘরে মুদির দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার কাছে আসামী দিপু, বাবু ও আক্তার প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেয়ার কারনে গতত ২২ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ওই দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে এবং পেট্রেল দিয়ে দোকান পুড়িয়ে দেয়। এতে দোকানের ৬০ হাজার টাকা মুল্যের মালামাল পুুড়ে যায় বলেও বাদী দাবি করেন। ক্যাশে থাকা ৪৫ হাজার টাকাও চুরি হয় বলেও বাদী দাবি করেন।
মামলায় উপরোক্ত তিন জন সহ আসামী করা হয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আবুল হোসেন, রাজীব, কামাল হোসেন, ফারুক, সোহেল, ইব্রাহীম, মোকা, হযরত আলী, জসিম উদ্দীন, রিপন মিয়া, হোসেন মুন্সী, কবির মিয়া, দেওয়ান আবদুর রউফ, পাপ্পু, হিরু, লিটন, সুলতান, বিপুল, শরীফ মেম্বার, লোকমান, কাইয়ুম, বেলায়েত হোসেন, বাবুল মিয়া, সজল মিয়া, জহিরুল ইসলাম, শাহিন দেওয়ান, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, মনির হোসেন, নাসির মোল্লা, জুয়েল সিকদার, জয়নাল মিয়া, কাউসার, সামাদ মিয়া, পারভেজ, মনিরুল ইসলাম, আমির হোসেন, আবদুল্লাহ, মনির হোসেন, আওলাদ হোসেন, রফিজ উদ্দীন, খোকন, লোকমান হোসেন বাচ্চু, হামিদুল হক খান, ইব্রাহীম, কহিনুর, ডালিম, ইয়াকুব, লোটন, মুকবুল, হোসেন কমিশনার, গোলজার হোসেন মোল্লা, জালাল মিয়া, রুবেল মিয়া, সোহেল, কায়কোবাদ, রাজু, সুরুজ, চান মিয়া, জুয়েল, আনোয়ার, ইমন, শাহিন, আবু সরকার, তাহের, হিরন মাস্টার, রফিকুল ইসলাম, গোলাম মাওলা নয়ন, আব্বাস উদ্দীন, সোহেল মিয়া, বাচ্চু, আক্তার ভুইয়া ও আফজাল মিয়া সহ আরও অজ্ঞাতানামা ৬০ থেকে ৭০ জন। তারা সকলেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে বিএনপির সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন।
রবিবার নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে জামিন শেষে বিএনপির এসব নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন- মামলাটি রাজনৈতিক কারনে করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এসব সাজানো মামলা দায়ের করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে সরানো হয়। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করেন বিএনপির এসব নেতাকর্মীরা।
একই অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন বলেন, আমরা কোথাও না থাকলেও আমাদের আসামী করা হয়। আবার কোন ঘটনাও ঘটেনি এমন ঘটনা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওইসব মামলাগুলোতে আমাদের আসামী করা হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরাও তবুও ধমে যাবে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবে।