সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৪১সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠনের পর ৯ জানুয়ারি কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ১১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে ও ১৬ জানুুয়ারি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। দুটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের যে পরিমান সংখ্যা দেখা গেল তা গত দুই বছরেরও এত সংখ্যক নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপির কোন কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
অন্যান্য থানা/উপজেলার নেতাদের চেয়ে একটু বেশি সংখ্যক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের। দুটি কর্মসূচিতেই ৩/৪ভাগে শোডাউন করে নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুটি কর্মসূচিতেই সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে সোনারগাঁও বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন। খন্দকার আবু জাফর ও মোশারফ হোসেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।
তবে দুটি কর্মসূচিতে রাজপথের নেতৃত্বে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানকে সরাসরি দেখা না গেলেও তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সদস্য আল মুজাহিদ মল্লিক ও কামরুজ্জামান মাসুমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
তবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন করে ভেলকি দেখিয়েছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু ও কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সেলিম হক রুমী। দুটি কর্মসূচিতেই তারা দুএজন একসাথে হয়ে শোডাউন করে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন। এই দুজনও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন।
গত ১১ জানুয়ারির কর্মসূচিতে দেখা না গেলেও ১৬ জানুয়ারির কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও শাহআলম মুকুলকে দেখা গেল অংশগ্রহণ করতে। তবে তারা কোন শোডাউন করেননি।
তবে হটাত করে এসব নেতাদের রাজপথে সক্রিয় হওয়ার কারন হিসেবে জানাগেছে, আগামীতে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহামুদকে ম্যানেজ করে খন্দকার আবু জাফরকে আহ্বায়ক ও মোশারফ হোসেনকে সদস্য সচিব করে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
একইভাবে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। কিন্তু মান্নান বলয়ে সদস্য সচিব পদে আগ্রহী আল মুজাহিদ মল্লিক ও কামরুজ্জামান মাসুুম। তবে রহস্য দেখা দিয়েছে সেলিম হক রুমী ও কাজী নজরুল ইসলাম টিটুর ভুমিকা নিয়ে। সর্বপরি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির আগামী রাজনীতিতে কারো একক কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব থাকছেনা।
কেউ কেউ জানিয়েছেন, খন্দকার আবু জাফরকে আহ্বায়ক ও মান্নানকে সদস্য সচিব করেই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে জাফরের লক্ষ্য থাকবে মোশারফকে কমিটির সেক্রেটারি করা। সেখানেও মান্নানের একক কর্তৃত্ব থাকছেনা। রাজপথে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির পরেও ফ্যাক্টর হয়ে ওঠেছেন আবু জাফর ও মোশারফ হোসেন।