সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় স্থাপন করার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষক সহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
১৬ জানুয়ারি শনিবার সন্ধায় ‘আলোর পথযাত্রী পাঠাগার’ এ “প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ও টেকসই উন্নয়ন” শীষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করার অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বক্তারা দাবি করেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোন উপজেলার থেকে এগিয়ে আছে আড়াইহাজার উপজেলা।
যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপুর্ব উন্নয়নের কারণে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সহ নরসিংদী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও এদের আশপাশের এলাকার সাথে যোগাযোগ অনেক সহজতর হয়েছে। তাই আড়াইহাজার এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অডিট ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক (অবঃ) ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল বাছেত খান।
আলোর পথযাত্রী পাঠাগারের সভাপতি ও সমকালের আড়াইহাজার প্রতিনিধি সফুরউদ্দিন প্রভাতের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩৮তম বিএসএস প্রশাসন ক্যাডারের প্রথম স্থান অধিকারী মোঃ রুহুল আমিন শরীফ, পাক্ষিক স্বাগতম এর সম্পাদক ও প্রাবন্ধিক রুহুল আমিন বাবুল, রোকনউদ্দিন গালস্ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান, দুপ্তারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী, আড়াইহাজার উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আক্তারুজ্জামান, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আলমগীর হাসান, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন, ইউনাইটেড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, রোকনউদ্দিন মোল্লা গালস্ ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রভাষক মাসউদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, আবু সাঈদ, গোলাম সরওয়ার, হাবিবুর রহমান, গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজের প্রভাষক রকিবুল হাসান, দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল্লাহ ভূইয়া, জাকারিয়া খান অনিক শরীফ মিয়া, ইউনাইটেড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রমজান আল মামুন, এ কে এম মাকসুদুল আলম, নজরুল ইসলাম, শাকিল শিকারি, পলাশ কম্পিউটার ও ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্তাধিকারী কবির হোসেন. ভারজিং ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষ সজল প্রমুখ।
৩৮তম বিএসএস প্রশাসন ক্যাডারের প্রথম স্থান অধিকারী মোঃ রুহুল আমিন শরীফ বলেন, প্রযুক্তি দিয়ে সভ্যতা শুরু হয়েছে, বর্তমানে চলছে আল্ট্রা মর্ডান প্রযুক্তি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমিয়েছে জীবনের আবেগ, দিয়েছে উন্নয়নের বেগ। কারণ গুগুলের সাথে তো দুনিয়া হাতে। তিনি প্রযুক্তির ব্যবহারকে শিক্ষার্থী বান্ধব করে শিক্ষার্থীদের অনলাইন ভিত্তিক কমন প্লাটফর্ম এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক মিডিয়া সেন্টার স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
স্বাশিপ সভাপতি গিয়াসউদ্দিন সরকার বলেন, আড়াইহাজার উপজেলা থেকে দিনরাত যে কোন সময় যে কোন জেলায় যাওয়া-আসা যায়। এছাড়াও “জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করার জন্য পর্যাপ্ত সুন্দর মনোরম জায়গা রয়েছে। সরকারি কিংবা অধিগ্রহণ করলেও কম মূল্যে পছন্দমত জায়গা পাওয়া যাবে। তাই আড়াইহাজারে তিনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।
রোকনউদ্দিন গালস্ ডিগ্রী কলেজেন অধ্যক্ষ মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি ইনস্টিটিউট (বারটান) প্রতিষ্ঠা হয়েছে বিশনন্দীর মেঘনার তীরে এক মনোরম পরিবেশে। এরকম সুন্দর লোকেশন আড়াইহাজারে আরও অনেক রয়েছে। তাই “জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” আড়াইহাজারে প্রতিষ্ঠা করা হলে অন্য যেকোন এলাকা থেকে শিক্ষার্থী যাতায়াত, আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
গোপালদী নজরুল ইসলাম বাবু কলেজর অধ্যক্ষ আলমগীর হাসান বলেন, আড়াইহাজার উপজেলা বর্তমানে শিক্ষা নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। শিক্ষা বান্ধব এলাকা হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান আহরনের জন্য আড়াইহাজার উপজেলা একটি উপযুক্ত স্থান হবে। তিনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি আড়াইহাজারে প্রতিষ্ঠার দাবীর জানান।
প্রসঙ্গত : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেওয়ার পর গত ৯ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নারায়ণগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যুগোপযোগী খসড়া আইন প্রস্তুতের দেয়া হয়। রাজধানীর পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে একাধিক সরকারি কলেজ থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ নারায়ণগঞ্জে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল।