সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, যে সময় জাতি যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল, জাতি দ্বিগবিদিক হয়েছিল, সেই সময় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি এদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেছেন, যে সময় আওয়ামীলীগ দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল সে সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আর্মিদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন, যুব ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ৯নং সেক্টরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যিনি সেক্টর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। উনি পরবর্তীতে জেট ফোর্স গঠন করেছেন এবং দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পরে যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল তখন শহীদ জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম উপাধি দিতে বাধ্য হয়েছিল।
১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দেওভোগ এলাকায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের পক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাখাওয়াত হোসেন খান এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আওয়ামীলীগের উদযাপন কমিটি হয়েছে এবং বিএনপিরও উদযাপন কমিটি হয়েছে, যেখানে আওয়ামীলীগের উদযাপন কমিটিতে কোন সেক্টর কমান্ডার নেই, কোন বীর উত্তম নেই। কিন্তু বিএনপির উদযাপন কমিটিতে কয়েকজন বীর উত্তম ও সেক্টর কমান্ডার রয়েছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি দাবি করেছে। আওয়ামীলীগের চেয়ে বিএনপির ভেতরেই বেশি মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
সাখাওয়াত আরও বলেন, আজকে সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। জিয়াউর রহমানের নামকে ভয় পায়। তাই তারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটাচ্ছে। যতই কুৎসা রটানো হোক এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না।
বর্তমান সরকারের বিষয়ে সাখাওয়াত বলেন, গত ১২ বছর যাবত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায়। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হয়েছে এদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেনি। দেশের সিংহভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষেই আছে, বিএনপির পক্ষেই আছেন। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম এদেশের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্র্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও যে সময় আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো সে সময় এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নাই। আওয়ামীলীগ ভোটের অধিকার হরণ করেছে। এদেশের মানুষ বীরের জাতি, ৭১ সালে যেমন পাকিস্তানকে হটিয়েছিল ঠিক একইভাবে এদেশ থেকে আওয়ামীলীগকে হটিয়ে এদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনির হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুর ইসলাম টুলু বলেন, যখন দেশের সরকার পুুষ্ট ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, যখন দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। জিয়াউর রহমান হলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা।
বিশেষ অতিথি জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা আবারো আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পতন ঘটিয়ে নতুন সূয্যের উদয় ঘটাবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নাজির মাহমুদ, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর প্রধান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা, মহানগর তাঁতী দলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক দলের সভাপতি নুর মোহাম্মদ, মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, যুগ্ম আহ্বায়ক লিংকন খান, অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল, যুবদল নেতা সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক লিংরাজ খান, ইব্রাহিম আহমেদ বাবু প্রমুখ।