সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের চাঙ্গা হয়ে ওঠেছে জেলা বিএনপির রাজনীতি। কিন্তু মহানগর বিএনপির পুর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও সেই চলকও দেখা পারেনি। যার কারন রাজপথের রাজনীতি থেকে দুরে রয়েছেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আদালতের নিষেধাজ্ঞায় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে স্থগিত। এমন পরিস্থিতিতে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি গঠন জরুরী হয়ে ওঠেছে। আর নেতৃত্ব শূন্য মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য হয়ে ওঠেছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত আইনজীবী নেতা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
জানাগেল, গত ৩০ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে আহ্বায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়। এরপর ৯ জানুয়ারি আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা শেষে ১১ জানুয়ারি ও ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয় যেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ দেখা গেল।
দুটি কর্মসূচিতে রাজপথে শোডাউন করে জাগানিয়া দিয়েছে জেলা বিএনপি। কিন্তু মহানগর বিএনপির ব্যানারে দুটি কর্মসূচি পালিত হলেও কোন রকম সাড়া জাগাতে পারেনি। কারন তারা গুটিকয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে চাষাড়া বালুর মাঠের সেই গলির ভেতরেই ছিল সীমাবদ্ধ। এরি মাঝে মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম এমনিতেই রাজপথের রাজনীতিতে নেই। বর্তমানে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এর আগে থেকে তিনি শারীরিকভাবে বার্ধক্যে পড়েছেন। সেক্রেটারি এটিএম কামাল আমেরিকা প্রবাসী জীবন যাপন করছেন।
এক সময় মহানগর বিএনপির ব্যানারে এককভাবেই রাজপথে শোডাউন দিতেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। কিন্তু তাতে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারি আপত্তি করায় তিনি সেই শোডাউন থেকে আপাতত বিরত রয়েছেন। তবে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর উদ্যোগে কর্মসূচি থাকলে সেখানে সুযোগ পেলেই শহরে শোডাউন দেন সাখাওয়াত। বর্তমানে নেতৃত্বশূন্য মহানগর বিএনপির নেতৃত্বে অপরিহার্য হয়ে ওঠেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান।