জনগণের কোটি কোটি টাকায় দেশে নির্বাচন নামের তামাশা চলছে: তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। ৫টা ১০টা লোক একসাথে বসলেই মামলা দেয়া হয়। মিটিং মিছিল করতে পারিনা। বাংলাদেশের কোথাও এখন কোন নির্বাচন নাই। একটা নৌকা, পুুলিশ আর সন্ধার সময় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা, এই হলো বাংলাদেশের নির্বাচন। বাংলাদেশের নির্বাচন এখন একটা সার্কাসে পরিনত হয়েছে। জনগণের অর্থ কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচনের নামে তামাসা হয়। এই তামাসা প্রতিরোধ করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আন্দোলন।

তিনি আজহারুল ইসলাম মান্নানের প্রসংশা করে বলেন, ইতিপূর্বে দেখেছি আজহারুল ইসলাম মান্নানের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সকল কর্মসূচি নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে সফল করেছে। বিরাট মিছিল নিয়ে যোগদান করেছে যা আমরা দেখেছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সকল নেতাকে ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান।

২৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুর বারোটা থেকে দিনব্যাপী আয়োজনের মাধ্যমে নারায়যণগঞ্জের সোনারগাঁও মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় আজহারুল ইসলাম মান্নানের বাসভবনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মান্নান ওই অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত থেকে এই সংবর্ধনা দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রত্যেক নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। ওই অনুষ্ঠানে তৈমূর আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল।

সংবর্ধিত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন, লুৎফর রহমান আব্দু, জাহিদ হাসান রোজেল, সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, মোশারফ হোসেন (রূপগঞ্জ), আশরাফুল হক রিপন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, হাবিবুর রহমান হাবু, মোহাম্মদ দুলাল হোসেন, এমএ হালিম জুয়েল, শাহ আলম মুকুল, রহিমা শরীফ মায়া, রুহুল আমিন সিকদার, কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম, আল মুজাহিদ মল্লিক, জুয়েল আহমেদ।

তবে সোনারগাঁও থেকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে পদ পাওয়া ৮ জনের মধ্যে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন না। তারা হলেন খন্দকার আবু জাফর, মোশারফ হোসেন, সেলিম হক রুমী ও ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল।

অনুষ্ঠানে উল্লেখ্যযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল রহমান স্বপন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজীব, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদা খাতুন মিতা, সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি রুমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সালমা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সালমা আক্তার কাজল, সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুম মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, মেহেদী হাসান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহামেদ, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভুঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান, জেলা জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কেএম সুমন, সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম সরকার সহ সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী।