সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ৯টি ওয়ার্ডে ৪২টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪২হাজার। ইউপি নির্বাচনের আর বাকি ৩মাস। দিন যত ঘনিয়ে আসছে মানুষের মনে কৌতুহলও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৯ জানুুয়ারি শুক্রবার আলীরটেক ইউনিয়নের একটি জনসভায় স্থানীয় জাতীয়পার্টির এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, বন্দরে ৫টি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যানদেরই রাখতে চান এবং নিজের সংসার ভাঙ্গতে চান না। কিন্তু এদিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে গেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দীন প্রধান। তিনি নির্বাচনের ঘোষণা না দিলেও নিয়মিত তিনি গণসংযোগ করছেন বিভিন্ন এলাকায়।
কলাগাছিয়া ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান ২বারের দেলোয়ার হোসেন প্রধানের বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে নির্বাচনী মাঠ চষে বেরাচ্ছেন মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি ও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।
এবার কাজিম উদ্দিন প্রধান আটঘাট বেধেই নেমেছেন। বর্তমানে তিনি বন্দর আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ বহন করে আসছেন। কাজিম উদ্দিন প্রধান বেশিরভাগ সময়ই কলাগাছিয়া ইউনিয়নে সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছেন। তিনি একটি লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
কলাগাছিয়া ইউনিয়নে (ক্ষমতাশীন দল) আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর একটি অংশ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে কম্বল বিতরণ, ওয়াজ মাহফিল, ওরশ শরিফ সহ বিভিন্ন স্থানে প্রধান অতিথি হয়ে তিনি তার নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। ভোটে দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের হাতে গড়া সৈনিক দেলোয়ার হোসেন প্রধান। তবে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট দেখলে দেলোয়ার হোসেন প্রধানের দিক থেকে জনগণ মুখি ফিরিয়ে নিচ্ছেন এখনি।
তবে দেলোয়ার প্রধানের দাবি- আমি সবার আগে ধন্যবাদ জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই সারাদেশে এত উন্নয়ণ আর তার মত এমন নেত্রী আছে বলেই আমি দুই বারের চেয়ারম্যান। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে আর এমন মানবতাবাদী নেত্রী না থাকলে আমি কখনো চেয়ারম্যান হতে পারতামনা। আমি সাড়ে নয় বছর যাবৎ কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত সময়গুলোতে রাস্তাঘাট, ড্রেন, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ প্রায় ১’শ ৩৫ কোটি টাকার কাজ করেছি। আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমার কাজই জনগণের কল্যাণে কাজ করা। আমি কখনো আমার দলের লোকজনকে কোন অন্যায়ভাবে কোন কাজ করতে দেই নাই। জনকল্যাণমুলক কাজে সবসময় আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আগামী নির্বাচনে জনগণের জন্য যদি কাজ করে থাকি তাহলে নির্বাচিত হব। দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ হল সকল ক্ষমতার উৎস। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি থাকতে পারে। আমার চেয়ে ভাল কাজ যে করবে জনগণ তাকেই লুফে নিবে। ভাল কাজে আমার সমর্থণ সব সময় থাকবে ইনশাআল্লাহ।