সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই চেষ্টার সময় কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরের দুধঘাটায় নিজ বাড়ির পাশে তাকে দাফন করা হয়।
পলাশের বাবা পিয়ার জাহান বলেন, তার (পলাশ) লাশ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না। কিন্তু প্রশাসন থেকে ডাকায় সোমবার রাতে লাশ নিতে চট্টগ্রামে যাই। পতেঙ্গা পুলিশের কাছ থেকে লাশ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ আসি। পরে সকাল নয়টার দিকে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে পলাশের মরদেহ গ্রহণ করেন তার বাবা। এরপর মরদেহ নিয়ে রাতেই নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
গত রবিবার বিকালে দুবাইয়ের উদ্দেশে ক্রুসহ ১৪৮ যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিমান। উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি।
বিমানের চট্টগ্রামগামী ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে, তখন এক ব্যক্তি পাইলটকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিমানটি জিম্মি করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের জরুরি অবতরণ করা হয়। জরুরি অবতরণের পর পরই রানওয়েতে বিমানটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ। বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী সন্দেহভাজন অস্ত্রধারীকে ধরতে কমান্ডো অভিযান চালানো হয়। পরে ওই অভিযানে গুলিতে মারা যান পলাশ।
কমান্ডো অভিযান শেষে সেদিন রাতেই পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এরপর সুরতহাল শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হসেপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষ হয়। নিহতের কেউ চট্টগ্রামে না থাকায় মরদেহটি হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। সোমবার রাতে পলাশের বাবা মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে তাকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া।